রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ওয়াশিংটন ক্রমাগত কাজ করছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলে।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের প্রধান কারণগুলো মোকাবিলায় কাজ করছি। যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রয়েছে।
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডেরেক শোলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। এজন্য আমি বাংলাদেশে এসেছি।
তিনি বলেন, ৫১ বছরে গড়ে ওঠা শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। একটি খুব দৃঢ় অংশীদারিত্বের ৫১ বছর হয়েছে। আমরা আগামী ৫১ বছর ও তারপরেও একসঙ্গে কাজ করছে চাই। অভিন্ন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি আমাদের একই রকমের অনেক সম্ভাবনাও রয়েছে। সেটা নিয়েই আজ আলোচনা করেছি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিনি (ডেরেক এইচ শোলে) এসেছেন আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ভালো করার জন্য, আরও শক্তিশালী করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো, আমরা এই সম্পর্ককে আরও অনেক সামনে নিয়ে যেতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় ইনভেস্টর...।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আমাদের সাহায্য করেছে এবং করে যাচ্ছে। তারা আমাদের সঙ্গে একমত যে, রোহিঙ্গাদের জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে। তাদের অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। তাদের হৃদয়ে একটা আশা দিতে হবে। এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। এক্ষেত্রে আমাদের আলোচনা খুব ভালো হয়েছে।’
ড. মোমেন বলেন, আমি খুব খুশি যে তারা এসেছেন, এবং তিনি একা আসেননি, তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অনেককে নিয়ে এসেছেন। এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্য।
এর আগে গণভবনে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডেরেক শোলের নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।