13362

05/09/2024 মূল আসামির পরিবর্তে জেলে কলেজছাত্র : তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

মূল আসামির পরিবর্তে জেলে কলেজছাত্র : তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

আদালত প্রতিবেদক

৮ জুন ২০২৩ ১৬:৪৮

শুধু বাবার নামের সঙ্গে আসামির বাবার মিল থাকায় সাজাপ্রাপ্ত প্রকৃত আসামির পরিবর্তে জেল খাটছেন আল আমিন নামের এক নিরপরাধ কলেজছাত্র। বিষয়টি নজরে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৭ জুন) বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রকৃত আসামি আলমগীর হোসেনের পরিবর্তে আল আমিনকে গ্রেফতার করা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য।

বৃহস্পতিবার আইনজীবী শিশির মনির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), রংপুরের ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার (এসপি), গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও রংপুরের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ২০১৫ সালে রংপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলায় এক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মো. রোকনুজ্জামান পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন। দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- গঙ্গাচড়া উপজেলার নরসিংহ মর্ণেয়া গ্রামের আবুজার রহমান (২৮), আলমগীর হোসেন (২৭), নাজির হোসেন (৩২), আবদুল করিম (২৯) ও আমিনুর রহমান (২৯)। তাদের মধ্যে আলমগীর পলাতক।

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আলমগীর গঙ্গাচড়া উপজেলার নরসিংহ মর্ণেয়া গ্রামের মো. হান্নানের পুত্র।

আর গত ১৮ মার্চ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা আল আমিন গঙ্গাচড়া উপজেলার হাজির পাড়া গ্রামের মো. আব্দুল হান্নানের ছেলে। তাকে গত ১৮ মার্চ রাতে রংপুরের সিও বাজার মসজিদ ছাত্রাবাস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আল আমিন ২০১৫ সালে ওই ঘটনার সময় স্কুল অধ্যয়নরত ছিলেন। জন্ম সনদ অনুযায়ী আল আমিনের জন্ম ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি। তিনি ২০১১ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি), ২০১৫ সালে জেএসসি, ২০১৮ সালে এসএসসি, ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আদিতমারী সরকারি কলেজে ভর্তি হন। আল আমিন বর্তমানে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছে।

এদিকে গত ৩০ মার্চ সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলমগীরের পরিবর্তে গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ আল আমিন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর পর ন্যায়বিচারপ্রাপ্তিতে মানবিক সহযোগিতা করার জন্য রংপুর পুলিশ সুপার বরাবর একটি আবেদন করেন আল আমিনের ভাই আলী হোসাইন। আবেদনে আল আমিনের ন্যায়বিচারের জন্য মানবিক সহায়তা চাওয়া হয়।

এরপরর এ বিষয়ে কোন সাড়া না পেয়ে গত ২৮ মে আল আমিনের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করেন তার ভাই আলী হোসাইন।

ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত পিবিআইকে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]