31676

05/05/2025 শিশুরা লিচু খাওয়ার সময় বড়রা যা করবেন

শিশুরা লিচু খাওয়ার সময় বড়রা যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

৫ মে ২০২৫ ১১:৩৬

বাজালে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ফল। এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ফল লিচু। ছোট–বড় প্রায় সবারই প্রিয় ফল লিচু। কিন্তু এই মৌসুম এলেই আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকে লিচুর বিচি গলায় আটকে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। গত কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে এমন বিভিন্ন ঘটনা। শুধু শিশুরা নয়, গলায় লিচুর বিচি বয়স্কদেরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।

গত রবিবার (৪ মে) কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় লিচুর বিচি গলায় আটকে মো. বায়জিদ মিয়া (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

তাই শিশুরা লিছু খাওয়ার সময় অভিভাবকদের বাড়তি কিছু সতকর্তা মেনে চলতে হবে। চলুন, জেনেও নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-

১. শিশুদের বিচি ছাড়িয়ে লিচু খাওয়াতে হবে। বড়দের সহযোগিতা ছাড়া তাদের হাতে এগুলো দেওয়া বা খেতে দেওয়া ঠিক নয়।
২. লিচু খাওয়ার পর বিচিগুলো সংগ্রহ করে শিশুর নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
৩. লিচু শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
৪. এছাড়া, গাছতলায় কুড়িয়ে পাওয়া কোনো লিচুও খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ, এক্ষেত্রে নিপাহ ভাইরাস’সহ প্রাণিবাহিত বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে। এছাড়া বাজার থেকে কেনা লিচু খোসা ছাড়ানোর আগে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখা ভালো।

গলায় কিছু আটকেছে কি-না বুঝবেন যেভাবে

গলায় কিছু আটকে যাওয়ার পর ভুক্তভোগী আর কথা বলতে পারেন না। ফলে তার গলায় যে কিছু আটকে গেছে, সেটা বোঝা অনেক সময় বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কিছু আলামত দেখলে সমস্যাটা অনুধাবন করা যায়।

গলা বা শ্বাসনালিতে লিচুর বিচি আটকে গেলে প্রথমেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে কষ্ট হবে। কাশি, বমি বমি ভাব, কথা বলতে না পারা, ঠোঁট নীল হওয়া বা জ্ঞান হারানোর মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন অবস্থায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা না গেলে রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়ে। এ রকম পরিস্থিতিতে অধিকাংশ সময় অভিভাবকেরা ভয় পেয়ে যান। এরপর ঘাবড়ে গিয়ে নানা ধরনের ভুল করে বিপদের মাত্রা বাড়িয়ে দেন।

তাৎক্ষণিক করণীয়

অসুস্থ ব্যক্তিকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে দুই হাত পেটের ওপরে রেখে জোরে জোরে চাপ দিতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় আটকে যাওয়া বস্তুটি অনেক সময় দ্রুত বের হয়ে যায়। আর যদি ছোট শিশু হয়, তাহলে তাকে কোলে নিয়ে হাতের ওপর উপুড় করে শুইয়ে পিঠে চাপড় দিতে হবে। হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতিটি চালিয়ে যেতে হবে।

 

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]