32717

06/09/2025 মশা কেন কিছু মানুষকে বেশি কামড়ায়?

মশা কেন কিছু মানুষকে বেশি কামড়ায়?

ড. কবিরুল বাশার

৯ জুন ২০২৫ ১৩:৪৭

আপনি কি কখনো লক্ষ্য করেছেন যে একই পরিবেশে থাকা সত্ত্বেও মশারা শুধুমাত্র আপনাকেই বেশি কামড়ায়? এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে মশাদের কিছু মানুষের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ কাজ করে। আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে শরীরের গঠন পর্যন্ত নানা কারণ এখানে ভূমিকা রাখে।

রক্তের গ্রুপ, মশাদের প্রিয় বিষয়

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মশারা রক্তের গ্রুপভেদে ভিন্ন পছন্দ প্রদর্শন করে, বিশেষ করে 'O' গ্রুপের রক্তধারীদের তারা প্রায় ৮৩ শতাংশ বেশি কামড়ায়, যেখানে 'A' গ্রুপের তুলনায় 'B' ও 'AB' গ্রুপ মধ্যম অবস্থানে রয়েছে। প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ যারা "সিক্রেটর" (ত্বক, লালা বা ঘামের মাধ্যমে রক্তের গ্রুপের সংকেত প্রদানকারী) এবং বিশেষ করে 'O' গ্রুপের সিক্রেটর হলে তাদের মশার কামড়ের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়, আবার প্রজাতিভেদে এই পছন্দের তারতম্য দেখা যায় যেমন এশিয়ান টাইগার মশা (Aedes albopictus) 'O' গ্রুপকে অগ্রাধিকার দেয় অন্যদিকে অ্যানোফিলিস গাম্বিয়াই (Anopheles gambiae) 'AB' গ্রুপের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। কোন প্রজাতির মশা মানুষের রক্ত খেতে পছন্দ করে আবার কিছু কিছু প্রজাতির মশা প্রাণী রক্ত খেতে পছন্দ করেন। প্রজাতি ভেদে মশার রক্ত খাওয়ার পছন্দ ভিন্ন হয়ে থাকে।

শ্বাস-প্রশ্বাস অদৃশ্য আকর্ষণ

মশারা মানুষের নিঃশ্বাসে থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) গ্যাসকে ৫০ মিটার দূর থেকেই শনাক্ত করতে পারে। আপনি যত বেশি শ্বাস নেবেন, মশাদের কাছে তত বেশি দৃশ্যমান হবেন। আপনি দেখবেন আপনি যখন কোথাও বসেছেন তখন মশা ছিল না কিন্তু আপনি বসার কয়েক মিনিট পরেই সেখানে মশা এসে উপস্থিত। এর কারণ হলো আপনি যখন কোথাও বসছেন তখন সেখান থেকে আপনি নিয়মিত কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করছেন আর তার আকর্ষণেই ছুটে আসছে মশা।

কে বেশি ঝুঁকিতে?

গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষ মশার কামড়ের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথমত, শারীরিকভাবে সক্রিয় ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন, কারণ ব্যায়াম বা পরিশ্রমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়, ফলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয়ত, গর্ভবতী নারীরা সাধারণ মানুষের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করেন, যা মশাদের আকর্ষণের একটি বড় কারণ।

তৃতীয়ত, শিশু ও বড় আকারের ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন, কারণ তাদের বিপাকীয় হার বেশি হওয়ায় বেশি পরিমাণে CO₂ উৎপন্ন হয়। শিশুরা সাধারণত বেশি ছোটাছুটি করে, ফলে তাদের দেহ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি নিঃসৃত হয়। একইভাবে, বড় দেহের অধিকারী ব্যক্তিদের বিপাকীয় হার বেশি হওয়ায় তাদের দিকেও মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।

মশারা প্রায়ই আমাদের মুখমণ্ডলের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে, কারণ নাক ও মুখের কাছে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি থাকে। এটি মশাদের জন্য একটি শক্তিশালী সংকেত হিসেবে কাজ করে, যা তাদের শিকার খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

দেহের তাপ ও ঘাম প্রাকৃতিক আকর্ষণ

মশারা বিশেষ করে স্ত্রী মশারা তাপ অনুভব করতে সক্ষম। আপনার শরীর যত বেশি উষ্ণ হবে, তারা তত সহজে আপনাকে খুঁজে পাবে। শারীরিক ব্যায়াম বা কঠোর পরিশ্রমের সময়, গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় শরীর বেশি তাপ উৎপন্ন করে তাই এই সময়ে মশা বেশি আকৃষ্ট হয়। গর্ভবতী নারীদের দেহের তাপমাত্রা সাধারণত ০.৭°C বেশি থাকে তাই এ সময়ে তাদের দিকে মশা বেশি যায়।

মানুষের ঘামে ল্যাকটিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া এবং ইউরিক অ্যাসিডের মতো রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা মশাদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে-ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যায়ামের সময় পেশি থেকে নিঃসৃত হয়, অ্যামোনিয়া প্রোটিন বিপাকের উপজাত হিসেবে তৈরি হয়, আর ইউরিক অ্যাসিড শরীরের একটি প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ; মজার বিষয় হলো, আপনি যখন নিজেকে ঘামছেন না মনে করছেন তখনো আপনার ত্বক থেকে অবিরামভাবে এই রাসায়নিকগুলো নিঃসৃত হচ্ছে, যা মশারা তাদের সংবেদনশীল অঙ্গগুলো দিয়ে সহজেই শনাক্ত করতে পারে এবং এভাবেই তারা তাদের শিকার বেছে নেয়।

ত্বকের গন্ধ তৈরি করা ব্যাকটেরিয়া

আমাদের ত্বকে বসবাসকারী প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া মিলে তৈরি করে একটি অনন্য গন্ধ যা মশাদের আকর্ষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার প্রজাতির সংখ্যা কম কিন্তু পরিমাণ বেশি এবং কার্বক্সিলিক অ্যাসিড নামক চর্বিজাতীয় অ্যাসিডের মাত্রা বেশি (২০২২ সালের গবেষণা অনুযায়ী), তারা মশাদের কামড়ের বেশি শিকার হন; এই অণুজীবসমূহ প্রতিটি মানুষের জন্য সম্পূর্ণ অনন্য এবং আঙুলের ছাপের মতো স্বতন্ত্র হওয়ায় একই পরিবারের দুই সদস্যের একজন মশার প্রিয় টার্গেট হতে পারে, অন্যজন নয়।

গর্ভাবস্থায় দ্বিগুণ সতর্কতা

আফ্রিকায় পরিচালিত গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, গর্ভবতী নারীরা সাধারণ নারীদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেশি মশার কামড়ের শিকার হন, যা প্রধানত তিনটি কারণেই ঘটে।

প্রথমত, গর্ভাবস্থায় ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ২০-৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বেশি কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়; দ্বিতীয়ত, শরীরের মূল তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যায়;

এবং তৃতীয়ত, প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবে ত্বকের প্রাকৃতিক গন্ধ পরিবর্তিত হয়। এই সমন্বিত পরিবর্তনগুলো মশাদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় সংকেত তৈরি করে, আর এজন্যই গর্ভবতী নারীদের জন্য মশার কামড় কেবল বিরক্তিকরই নয় বরং ডেঙ্গু, জিকা বা ম্যালেরিয়ার মতো মারাত্মক রোগবাহী হওয়ায় বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে ওঠে।

খাদ্যাভ্যাস মশার জন্য আকর্ষণ

আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস মশাদের আকর্ষণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, যেখানে কলার মতো পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল ঘামের গন্ধ পরিবর্তন করে মশাদের আকৃষ্ট করে, অ্যালকোহল (বিশেষ করে বিয়ার) মশাদের বিশেষ পছন্দের তালিকায় রয়েছে এবং লবণাক্ত ও মসলাদার খাবার শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি করে মশাদের জন্য আরও আকর্ষণীয় লক্ষ্যবস্তু তৈরি করে। যদিও রসুন বা ভিটামিন ‘বি’ ট্যাবলেট সেবন করলে মশা কামড়ায় না এমন ধারণা প্রচলিত আছে, কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বরং বাস্তবে দেখা গেছে কিছু খাবার মশাদের আকর্ষণই বাড়িয়ে দেয়।

কোন রঙের পোশাক মশার পছন্দ?

মশারা শুধু রাসায়নিক সংকেতই নয়, দৃষ্টিশক্তিও ব্যবহার করে শিকার খুঁজে বের করে, যেখানে গাঢ় রঙের পোশাক (কালো, গাঢ় নীল, লাল বা কমলা) সূর্যের তাপ বেশি শোষণ করে দেহের তাপমাত্রা সামান্য বাড়িয়ে দেয় বলে মশাদের কাছে সহজেই শনাক্তযোগ্য হয়ে ওঠে, অন্যদিকে হালকা রঙের পোশাক (সাদা, হালকা বেইজ বা পেস্টেল) তাপ কম শোষণ করায় মশাদের নজর এড়াতে সহায়ক হয় । এই কারণেই গরমের দিনে হালকা রঙের পোশাক পরা মশার কামড় থেকে বাঁচার একটি সহজ ও কার্যকরী উপায়।

শারীরিক পরিশ্রম মশার আকর্ষণ বৃদ্ধি করে

বাইরে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করলে মশাদের আকর্ষণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়, কারণ ব্যায়ামের সময় আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস বেড়ে যায় ফলে বেশি কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়, ঘামের মাধ্যমে ল্যাকটিক অ্যাসিড ও অ্যামোনিয়া বের হয় এবং দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই তিনটি ফ্যাক্টর মিলে মশাদের জন্য আমরা হয়ে উঠি আদর্শ লক্ষ্যবস্তু, বিশেষ করে ভোরবেলা (সূর্যোদয়ের ১-২ ঘণ্টা আগে) এবং সন্ধ্যায় (সূর্যাস্তের ১-২ ঘণ্টা পর) যখন মশারা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে, তাই এই সময়ে বাইরে ব্যায়াম না করে বিকেলের দিকে ব্যায়াম করলে মশার কামড় থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া যায়।

মশার কামড় থেকে সুরক্ষার উপায়

পোশাকের সঠিক নির্বাচন: মশার কামড় থেকে বাঁচতে হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। সম্ভব হলে লম্বা হাতার জামা ও পায়জামা পরুন এবং মোটা কাপড় ব্যবহার করুন, কারণ মশারা পাতলা কাপড় ভেদ করে সহজেই কামড়াতে পারে।

সুগন্ধি সামগ্রী ব্যবহারে সতর্কতা: ভারী সুগন্ধিযুক্ত সাবান, শ্যাম্পু বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে সুগন্ধিমুক্ত বা হালকা সুগন্ধিযুক্ত ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী বেছে নিন, যা মশাদের কম আকর্ষণ করবে।

সময় ব্যবস্থাপনা: মশারা ভোর ও সন্ধ্যায় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। তাই এই সময়ে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং প্রয়োজনীয় কাজ থাকলে দিনের অন্য সময়ে সেরে ফেলার চেষ্টা করুন।

প্রতিরোধক (Mosquito Repellent) ব্যবহার: ডিট (DEET) সমৃদ্ধ ক্রিম (২০-৩০ শতাংশ ঘনত্ব), IR3535, পিকারিডিন (Picaridin) যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন, যা মশা প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। প্রাকৃতিক বিকল্প হিসেবে লেমন ইউক্যালিপটাস তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

বাসস্থান সুরক্ষা: বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি (যেমন ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, নির্মাণ সামগ্রী) সরিয়ে ফেলুন, কারণ এগুলো মশার প্রজননক্ষেত্র। জানালায় মশার নেট লাগান সন্ধ্যা হবার আগে নিশ্চিত করুন আপনার ঘরের দরজা জানালা বন্ধ আছে কারণ এই সময়ে ঘরে মশা বেশি ঢোকে।

বাড়ির আঙিনাকে মশামুক্ত রাখুন

মশাদের বংশবৃদ্ধি রোধ করতে প্রথমেই আপনার বাগানের যেকোনো স্থির পানির উৎস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, কারণ মশারা সাধারণত বৃষ্টির পানি জমে থাকা পুরোনো টায়ার, ফেলে রাখা পাত্র কিংবা অব্যবহৃত জিনিসপত্রে ডিম পাড়ে। বৃষ্টির পর নজর রাখুন যেন কোথাও পানি জমে না থাকে, ফোয়ারা কিংবা পাখির পানির পাত্রের পানি সপ্তাহে অন্তত একবার পরিবর্তন করুন এবং ছাদের নালা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন যাতে সেখানে পানি জমে না থাকে।

প্রাকৃতিক উপায়ে মশা নিয়ন্ত্রণ: আপনার বাগানের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি মশা দূর করতে কিছু বিশেষ গাছ লাগাতে পারেন যেমন সুগন্ধি ল্যাভেন্ডার (lavender), উজ্জ্বল রঙের গাঁদা ফুল (marigold), মশা তাড়ানোর জন্য বিখ্যাত সিট্রোনেলা ঘাস (citronella grass), সুগন্ধযুক্ত রোজমেরি (rosemary), তুলসী (basil), পুদিনা (mint) এবং সেজ (sage)।

এছাড়া অ্যালিয়াম (allium) বা পিঁয়াজ জাতীয় গাছও মশা প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। বাগানের ঘাস (lawn) নিয়মিত ছাঁটলে এবং এসব গাছ লাগালে প্রাকৃতিকভাবেই মশার উপদ্রব অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

মশাদের এই পছন্দ-অপছন্দের পেছনে জটিল বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। আপনার রক্তের গ্রুপ, দেহের তাপমাত্রা, ত্বকের অণুজীবসমূহ, শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরন - সবকিছুই এখানে ভূমিকা রাখে। তবে ভালো খবর হলো, এই কারণগুলো বুঝে প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণ করলে আপনি সহজেই মশাদের কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

পরেরবার যখন দেখবেন মশারা শুধু আপনাকেই বেশি কামড়াচ্ছে, তখন হতাশ হবেন না। বরং উল্লিখিত পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করে দেখুন। মনে রাখবেন, সামান্য সচেতনতাই পারে আপনাকে মশাদের উৎপাত থেকে মুক্তি দিতে।

ড. কবিরুল বাশার ।। অধ্যাপক, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]