ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশ করার কারণ তাদের আশঙ্কা ছিল, যদি তারা তা না করে, তাহলে ইসরায়েল ‘সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে’।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি এই কথা বলেন। গত ২৪ জুন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। তবে দুইদিন কেটে গেলেও এর আগে খামেনির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর তিনি জাতির উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন।
খামেনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ থেকে কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। ইরান ‘বিজয়ী’ হয়ে উঠতে পেরেছে এবং ‘আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে’।
তিনি বলেছেন, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্রের আঘাতে জায়নিস্ট শাসন ব্যবস্থা তাদের সব দাবি ও অহংকারের সাথে প্রায় চূর্ণ – বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে।’
পৃথক ভিডিও বার্তায় খামেনি বলেছেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করে আমেরিকা উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ঘটেছে তার একটি ‘অস্বাভাবিকভাবে অতিরঞ্জিত’ বর্ণনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা স্পষ্ট ছিল তাকে এটা করতে হয়েছিল, যে কেউ শুনলেই বলতে পারে আমেরিকা সত্যকে বিকৃত করার জন্য জিনিসগুলো অতিরঞ্জিত করেছে।”
তিনি বলেন, আমরা এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছি এবং এখানে তারা এটাকে ছোট করার চেষ্টা করছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও দাবি করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণের ইস্যু নয় বরং ইরানকে আত্মসমর্পণ করাতেই ছিল’।
এই বার্তা প্রকাশের কয়েক মিনিট আগে আয়াতুল্লাহ খামেনি এক এক্স বার্তায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য জনগণকে অভিনন্দন জানান।
এ জন্য তিনি দেশবাসীকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের ঐক্যই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী করেছে। দেশের ৯ কোটি জনগণ জায়োনিস্টদের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে লড়াই করেছে। আমাদের বীর সেনাদের সহায়তা করেছেন, সাহস যুগিয়েছেন।’
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, বিবিসি