রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) ১৮ জন প্রকৌশলী ও কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (২৯ জুন) রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি আকরাম হোসাইন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের কেন চাকরির পূর্ণ ধারাবাহিকতাসহ স্বপদে পুনর্বহাল করা হবে না তা জানতে চেয়ে এ রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে, রিট আবেদনকারীরা তাদের অপসারণ আদেশ প্রত্যাহারের জন্য বোর্ড অব ডিরেক্টরস নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) চেয়ারম্যান বরাবর যে আবেদন করেছেন তা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম মাহিদুল ইসলাম সজীব।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৮ জন চাকরিচ্যুতশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৮ জন চাকরিচ্যুত
এর আগে, গত ৮ মে এনপিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সই করা এক আদেশে তাদের সার্ভিস আর প্রয়োজন নেই জানিয়ে “নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড অ্যামপ্লোয়িস” চাকরি নীতিমালা অনুযায়ী তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই কর্মকর্তারা।
পাশাপাশি অব্যাহতি আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে বোর্ড অব ডিরেক্টরস নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান বরাবর গত ১২ মে আবেদন করেন তারা।
আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, স্থায়ী পদের বিপরীতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি করার বাধ্যবাধকতার অঙ্গীকারনামা সই করে তারা চাকরিতে যোগদান করেন। পরে তাদের সন্তোষজনক দুই বছরের চাকরি এবং রাশিয়ার রোসাটম টেকনিক্যাল একাডেমি থেকে সরকারের প্রায় কোটি টাকা খরচ করে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট সম্পর্কিত তত্ত্বীয়, ব্যবহারিক এবং কর্মস্থলে প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়। পরবর্তীতে তাদের পদোন্নতিও দেওয়া হয়।
ডিএম /সীমা