তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে ব্রয়লার মুরগির মৃত্যুতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কুড়িগ্রামের খামারিরা। তারা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হয়ে অনেকেই খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এ অবস্থায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল ব্রয়লার জাত পালনের পরামর্শ দিচ্ছে।
গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কুড়িগ্রাম জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৩৫ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তীব্র গরমে খামারে লালনপালন করা ব্রয়লার মুরগি হাঁসফাঁস করছে। অনেক মুরগির মাথা ঝুঁকে পড়ছে মাটিতে। খামারিরা ফ্যানের সাহায্যে তাপদাহ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার ব্রয়লার খামারিরা। অসহনীয় গরমে হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে অনেক মুরগি। এমন পরিস্থিতিতেও খামারিরা বলছেন, স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ মিলছে না। নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে চিকিৎসা এবং খামার ঠান্ডা রাখার নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তারা।
খামারিরা বলেন, ‘এই তাপমাত্রায় মুরগি টিকিয়ে রাখা এখন এক বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্যান, খাবার, ওষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না—হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে অনেক মুরগি।’
হিট স্ট্রোকে মুরগি মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল একটি ব্রয়লার জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে। আগামী বছরের মধ্যেই এই জাত বাজারে আসতে পারে। এতে খামারিরা ঝুঁকি থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।
উল্লেখ্য, প্রাণিসম্পদ বিভাগের তালিকা অনুযায়ী, গত বছর জেলার ৯ উপজেলায় ২ হাজারের বেশি ব্রয়লার খামার থাকলেও বর্তমানে নানা প্রতিকূল পরিবেশে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮৫৬টিতে।
ডিএম /সীমা