আশুরার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল রোজা। আশুরার দিনে (১০ মুহাররম) রোজা রাখা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। আশুরার রোজার সঙ্গে আরও একদিন রোজা রাখা হয়। কারণ, রাসূল সা. ১০ তারিখের সঙ্গে ৯ তারিখও রোজা রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এর কারণ ছিল ইহুদি-খ্রিস্টানদের আমল থেকে মুসলমানদের আমল পৃথক করা। এজন্য অনেক আলেম আশুরায় দুই দিন রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
হাদিসে আশুরার রোজা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার দিনে রোজা রাখেন এবং সাহাবাদেরও রোজা রাখতে বলেন। তখন লোকেরা বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! এই দিনটি ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কাছেও মর্যাদাপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেন, আগামী বছর, যদি আল্লাহ চান, আমরা ৯ তারিখেও রোজা রাখব।’ কিন্তু পরবর্তী বছর আসার আগেই তিনি ইন্তিকাল করেন। (সহীহ মুসলিম)
ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমাদ, ইসহাক এবং আরও অনেক আলেম বলেন : ১০ তারিখে রাসুল (সা.) রোজা রেখেছেন এবং ৯ তারিখ রোজা রাখার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। তাই উভয় দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব (উত্তম)।
রোজা রাখার বিভিন্ন পদ্ধতি:
১. শুধু ১০ তারিখ রোজা রাখা – এটিই ন্যূনতম।
২. ৯ ও ১০ তারিখ রোজা রাখা – এটি উত্তম ও সুন্নতের অনুসরণ।
৩. মুহাররম মাসে আরও বেশি রোজা রাখা – যত বেশি রাখা যায়, তত ভালো, কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন :
রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো আল্লাহর মাস মুহাররমে (সহিহ মুসলিম)
মুহাররমের ৯ ও ১০ তারিখে রোজা রাখা হাদিসের আলোকে প্রমাণিত এবং অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) নিজে ১০ তারিখ রোজা রেখেছেন এবং ৯ তারিখও রোজা রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাই মুসলিমদের উচিত এই দুই দিন রোজা রেখে ঐতিহ্য ও ফজিলত রক্ষা করা। তবে ৯ তারিখে রোজা রাখতে না পারলে অনেক আলেম ১০ তারিখের সঙ্গে ১১ তারিখ মিলিয়ে রোজা রাখার পরামর্শ দেন।
ডিএম /সীমা