মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বাবা-মা দু’জন মিলে পানিতে ফেলে তাদের যমজ কন্যা শিশুদের হত্যা করেছে। প্রাথমিক তদন্তে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ওসি বলেন, পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা যখন ঘটে তখন ওখানে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া তৃতীয় কোনো ব্যক্তি ছিল না। স্থানীয় তদন্তে স্বামী-স্ত্রী দু’জন মিলেই যমজ সন্তানদের পানিতে ফেলে মেরে ফেলার বিষয়টি সামনে এসেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পরে রিমান্ড আবেদনসহ তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দী গ্রামের দিন মুজুর সোহাগ শেখের (২৮) সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগ উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের মজিদপুর দয়হাটা গ্রামের শাহ আলমর মেয়ে শান্তার (২৪) বিয়ে হয়। ৫ মাস আগে শান্তা যমজ কন্যা সন্তান প্রসব করে। যজম কন্যা সন্তান প্রসবের বিষয়টি সাধারণভাবে মেনে নেয়নি সোহাগ শেখ। সন্তান হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। শান্তা সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িত থাকলেও বেশ কয়কদিন আগে স্বামীর বাড়িত আসে। সোমবার (৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে সোহাগের ঘর থেকে হট্টাগোলর শব্দ শুনে প্রতিবশীরা এগিয়ে এসে জানত পারেন তাদের দুই কন্যা লামিয়া ও সামিহাকে পার্শ্ববর্তী পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা পুকুরে নেমে লামিয়া ও সামিহাকে উদ্ধার কর শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে ছুটে যান তাদের ওই দুই কন্যার বাবা সোহাগও। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত শিশু দুটির বাবা দাবী করেছেন তার স্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরদিকে মায়ের দাবি তাদের বাবাই শিশু দুটিকে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ শিশু দুটির বাবা ও মা উভয়কে আটক করে।
উল্লেখ, সোমবার (৭ জুলাই) রাত ৮টার দিক উপজলার বিবন্দি এলাকার একটি পুকুর থেকে ৫ মাসের কন্যা লামিয়া ও সামিহাকে উদ্ধার কর শ্রীনগর উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যর চিকিৎসক তাদরক মৃত ঘোষণা করেন।
ডিএম /সীমা