তেলআবিব ও তেহরানের সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইসরাইলের অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাকের গালিবাফ এ দাবি করেন।
ইরানের আইআরআইবি-১ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বাকের গালিবাফ বলেন, ‘ইসরাইলের নিরাপত্তা গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে, তাদের আহতের সংখ্যা তিন হাজার ৫২০ জন। এই হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ৫০০ জন নিহত হওয়ার কথা। প্রকৃতপক্ষে ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরকারিভাবে জানানো সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। ’
যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট নিয়ে ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার জানিয়েছেন, ইসরাইলের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসন বন্ধ হয়েছে মূলত তাদের ব্যর্থতার কারণে, কোনোরকম নমনীয় মনোভাবের কারণে নয়।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, স্থল ও আকাশে ইরানের নিয়ন্ত্রণই ছিল ইসরাইলের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। তার ভাষায়, ‘আমরা ইসরাইলের সামরিক ও প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলো অকার্যকর করে দিয়েছি। ’
ইরানের স্পিকার জানান, যুদ্ধের শেষদিকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্ভুলতার হার ছিল ৯০ শতাংশেরও বেশি, যার ফলে ইসরাইলের প্রধান সামরিক ও বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনাগুলো অচল হয়ে পড়ে।
গালিবাফ দাবি করেন, ইরানের লক্ষ্যবস্তুর ওপর ছিল পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ—যার ফলে ইসরাইল যুদ্ধবিরতির পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। তার কথায়, ইরান কেবল ইসরাইলের বিরুদ্ধেই লড়েনি, বরং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো ও পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়েছে।
এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের বিরুদ্ধে হামলার জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধকালীন আলোচনার ভেতরে হামলা চালানো যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার প্রসঙ্গে কালিবাফ বলেন, যখন আলোচনা চলছিল তখনই আমেরিকা ইরানে হামলা চালিয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য প্রকাশ করেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যদি আমেরিকা সত্যিই কূটনৈতিক সমাধান চায়, তাহলে তাদের প্রথমেই নিজেদের আগ্রাসন ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ব্যাখ্যা দিতে হবে। তার কথায়,‘আলোচনার মধ্যে আমাদের ওপর হামলা চালাল কেন—এই প্রশ্নের উত্তর আমেরিকাকে দিতেই হবে। ’
তিনি বলেন, ‘যদি আমেরিকা সত্যিই সৎ হয়, তাহলে তারা সাম্প্রতিক হামলায় যে ক্ষতি করেছে, তার পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ’
সূত্র: পার্স টুডে
ডিএম /সীমা