ক্লাব বিশ্বকাপকে আসছে বছর বিশ্বকাপের পোশাকি মহড়ার মঞ্চ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তবে সে মহড়াটা অবশ্য খুব একটা ভালো হয়নি। অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস করেছেন ফুটবলাররা। যুক্তরাষ্ট্রের এই অসহনীয় গরমকে কীভাবে এড়ানো যায়, তা নিয়ে ভাবছে ফিফা। সভাপতি ইনফান্তিনো জানালেন, দিনের বেলার ম্যাচগুলোকে যতটা সম্ভব ইনডোর এয়ার-কন্ডিশনড ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়ার হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো যৌথভাবে এই আসর আয়োজন করবে। তবে গ্রীষ্মের দাবদাহে ইতোমধ্যেই উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপে অনেক ম্যাচেই দেখা গেছে সেই চিত্র। ম্যাচের মাঝে একাধিকবার খেলা বন্ধ করতে হয়েছে পানি পানের বিরতির জন্য। এমন কিছু আগামী বছর বিশ্বকাপেও চলতে থাকলে তা বেশ সমস্যাই সৃষ্টি করবে দলগুলোর জন্য।
চেলসির তারকা এনজো ফার্নান্দেজ জানান, ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খেলা ছিল ‘খুবই বিপজ্জনক’। এই প্রেক্ষাপটে ইনফান্তিনো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা, ডালাস, হিউস্টন এবং কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের ইনডোর স্টেডিয়ামগুলো দিনে খেলার সময় বেশি করে ব্যবহার করা হবে।
এই ১৬টি আয়োজক শহরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ১১টি, কানাডায় ২টি এবং মেক্সিকোতে ৩টি। এর মধ্যে ভ্যানকুভারেই জুন-জুলাই মাসে তাপমাত্রা সবচেয়ে সহনীয়।
ইনফান্তিনো বলেন, ‘তাপমাত্রা অবশ্যই একটা বড় সমস্যা। এটা শুধু এখানেই না, প্যারিস অলিম্পিক বা অন্য ফুটবল ম্যাচেও ছিল। কিন্তু আমাদের কাছে ইনডোর স্টেডিয়াম আছে, যুক্তরাষ্ট্রে যেমন কিছু আছে, কানাডার ভ্যানকুভারেও আছে। আমরা দিনের বেলার ম্যাচগুলোতে সেগুলো ব্যবহার করব।’
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে শুরুতে অনেক আর্থিক সংশয় ছিল। তবে বাস্তবে তা বিশাল সাফল্যে রূপ নিয়েছে। ৩২ দলের এই নতুন ফরম্যাটে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১.৫ বিলিয়ন পাউন্ড) আয় হয়েছে।
‘আমরা শুনেছিলাম এটা আর্থিকভাবে সফল হবে না। কিন্তু আমি বলতে পারি, আমরা এই প্রতিযোগিতা থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছি। প্রতি ম্যাচে গড়ে আয় হয়েছে ৩৩ মিলিয়ন ডলার। বিশ্বের কোনো ক্লাব প্রতিযোগিতায় এত আয় হয় না।’
টিকিট বিক্রি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। ইনফান্তিনো জানান, মোট ২৫ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে, গড়ে প্রতি ম্যাচে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক ছিল। ‘বিশ্বে এমন কোনো লিগ নেই যেখানে গড়ে এত দর্শক আসে, শুধুমাত্র প্রিমিয়ার লিগ ছাড়া, যেটা ঘরের মাঠে খেলা হয়।’
রবিবার নিউইয়র্কে চেলসি ও পিএসজির মধ্যকার ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ক্লাব বিশ্বকাপ। সেই ফাইনালে উপস্থিত থাকার কথা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
ডিএম /সীমা