গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ ও ওয়াসিমসহ অন্যান্য শহীদদের কেন জাতীয় বীর ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
পাশাপাশি রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে- আন্দোলনে শহীদদের প্রকৃত ও নির্ভরযোগ্য তালিকা করে তা গেজেট আকারে প্রকাশের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নতুন বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কারক কেন ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
গত বছরের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবির আন্দোলন এক পর্যায়ে সহিংস রূপ নেয়। সরকারি বাহিনীর গুলি এবং সরকারি দলের লোকজনের হামলায় একের পর এক আন্দোলনকারী শহীদ হতে থাকেন। রংপুরে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদকে গুলিতে হত্যার পর আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। একই দিন চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম।
আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনকারীদের মধ্যে পানি বিতরণ করার সময় শহীদ হন মীর মুগ্ধ। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তার ‘পানি লাগবে কারও পানি’ এমন আহ্বানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবার অন্তরে রেখাপাত করে।
এভাবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা আন্দোলনে হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন। তারা সবাই ‘জুলাই শহীদ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এবার তাদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করতে রুল জারি করলেন উচ্চ আদালত।
ডিএম /সীমা