ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তেহরান মনে করে কূটনীতির দরজা এখনও খোলা আছে এবং তারা সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তার সমস্ত রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করবে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ জুলাই) প্রবাসীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমরা কূটনীতি এবং গঠনমূলক মিথস্ক্রিয়াকে সমর্থন করি এবং যুদ্ধের বিরোধিতা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে যুদ্ধের ছায়া অপসারণের জন্য ইরানি জনগণের প্রাকৃতিক অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের হাতে থাকা সমস্ত রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পদ ব্যবহার করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান কখনও যুদ্ধ করতে চায়নি বরং, বরং, তারা সর্বদা বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার ইচ্ছা পোষণ করেছে।’
তবে শত্রুদের সতর্ক করে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইরানি জনগণ শান্তি চাইলেও তারা কোনওভাবেই বশীভূত নয়। ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় বন্ধনের ভিত্তিতে ইরান সমস্ত জাতির জন্য ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদা চায়।’
ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইসরাইলি-মার্কিন আগ্রাসনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ইহুদিবাদী শত্রুরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন ইরানের ওপর আক্রমন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, তেহরান ‘জনমতের যেকোনো ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে এবং তার পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের শান্তিপূর্ণ প্রকৃতি প্রমাণ করতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় প্রবেশ করেছে।’
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘যখন দুই দেশ পাঁচ দফা আলোচনায় বসেছিল এবং নতুন করে আলোচনার কথা ছিল তখন মার্কিন-সমর্থিত ইসরাইলি সরকার ইরানে আক্রমণ করে এবং বেশ কয়েকজন ইরানি সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে, যার মধ্যে নিরীহ নারী ও শিশুও ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার ঘোষণা করেছি যে আমাদের মতবাদ শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির উপর ভিত্তি করে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে যখনই ইরান স্থিতিশীলতা ও শান্তির দিকে অগ্রসর হতে চায়, তখনই ইহুদিবাদী সরকার হস্তক্ষেপ করে এবং [এই ধরনের প্রচেষ্টা]কে দুর্বল করে দেয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানের বৈধ আত্মরক্ষা সমস্ত আন্তর্জাতিক নীতি ও নিয়ম এবং জাতিসংঘের সনদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল।
এসএন /সীমা