চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার আলহাজ তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের দিন দেখা যায়, তাদের রোল নম্বরে অন্য শিক্ষার্থীদের নাম ও ফলাফল এসেছে।
এই ঘটনায় বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করেছেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির অসততা ও অবহেলার কারণে এমন জালিয়াতি হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত ঐ বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টির তদন্ত করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল। এই তদন্ত কমিটির প্রধান হচ্ছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর নুরন্নবী আলম। তদন্তে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের দায়িত্বে অবহেলা এবং শিক্ষার্থীদের ভুয়া নিবন্ধন ও প্রবেশপত্র প্রদানের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির এক সদস্য।
তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর নুরন্নবী আলম বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি ও আমার সহকর্মীরা ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত করছি। সেখানকার শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার লোকজনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। প্রাথমিক তদন্তে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। তবে ঐ শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক কিছু করা যায় কি না তা ভেবে দেখছি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ গাউছুল আজম পাটোয়ারী জানিয়েছেন, তদন্তে দেখা গেছে, এই শিক্ষার্থীদের নবম শ্রেণিতে কোনো নিবন্ধনই হয়নি। তাদের দেওয়া প্রবেশপত্র ও নিবন্ধন কার্ড ছিল ভুয়া। বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা ও আইসিটি বিভাগের এক শিক্ষক এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তার মুঠোফোন বন্ধ এবং ফলাফল প্রকাশের পর তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মাজহারুল হককে একাধিকবার কল করা হলেও কল ধরেননি তিনি।