নাটোর সুগার মিলে ডাকাতির ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীসহ ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে পুলিশ হেফাজতে।
শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহরের হুগলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত মিলের কারখানায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী একদল সশস্ত্র ডাকাত নিরাপত্তারক্ষীদের হাত-পা বেঁধে মিলের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ প্রায় ৯০ লাখ ৪ হাজার টাকার মালামাল লুট করে।
নাটোর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাতরা কারখানার বেয়ারিং, ওয়েল্ডিং ক্যাবল, ব্রাশ, পাম্পের যন্ত্রাংশ, সিরাপ পাইপ, শ্যাফট, ফিটিং বুশ, রোটর ব্রাশ এবং বৈদ্যুতিক তারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যায়। ভাঙচুর করে ইলেক্ট্রিশিয়ান রুম ও আসবাবপত্রও।
ঘটনার পর মিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নাটোর চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) ফেরদৌসুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান বলেন, ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল পরিকল্পিতভাবে এই ডাকাতি ঘটিয়েছে। তারা অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তারক্ষীদের জিম্মি করে কারখানায় প্রবেশ করে মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ প্রায় ৯০ লাখ ৪ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের অংশ হিসেবে নিরাপত্তারক্ষীসহ আটজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।