35620

08/04/2025 বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণের পাঁচ বছর, ন্যায়বিচারের আশায় ক্ষতিগ্রস্তরা

বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণের পাঁচ বছর, ন্যায়বিচারের আশায় ক্ষতিগ্রস্তরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৪ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৪১

২০২০ সালের ৪ আগস্ট লেবাননের বৈরুতে সমুদ্র বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২১৮ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। আহত হন আরও সাত হাজারের বেশি মানুষ। এই ঘটনার পাঁচ বছর পরও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে বিস্ফোরণের জন্য দায়ীদের বিচার করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সোমবার (০৪ আগস্ট) বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণের ৫ম বার্ষিকী উপলক্ষে ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন।

প্রেসিডেন্টের দফতরের এক্সে আকাউন্টে শেয়ার করা এক বিবৃতিতে ২০২০ সালের এই বিস্ফোরণকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অ-পারমাণবিক বিস্ফোরণগুলোর মধ্যে একটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি বড় অপরাধ যা জাতি ও বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছিল, যেখানে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান এবং হাজার হাজার নিরীহ মানুষ আহত হয়েছিলেন। লেবাননের রাষ্ট্র, এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার এবং সম্পূর্ণ সত্য উন্মোচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

আউন আরও বলেন, ‘ন্যায়বিচার অবশ্য মিলবে এবং জবাবদিহিতা অনিবার্য। আমরা সকল কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ অব্যাহত রাখব যাতে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করা যায় এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা যায়। এটি আমাদের জাতীয় অগ্রাধিকার।’

প্রসঙ্গত, বৈরুত বন্দরে ২০১৪ সাল থেকে একটি জাহাজ থেকে জব্দ করা অত্যন্ত মারাত্মক বিস্ফোরক ২ হাজার ৭৫০ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বন্দরে ছয় বছর ধরে অনুপযুক্ত পরিবেশে মজুত থাকার করনেই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরিত হয়। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবসহ চারজন সাবেক মন্ত্রীকে অভিযুক্ত করেছে আদালত।

প্রধানমন্ত্রী হাসান ছাড়াও অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন- দেশটির সাবেক জনকল্যাণ মন্ত্রী গাজী জৈতার ও ইউসেফ ফেনিয়ানোস এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আলী আহসান খলিল। এই তিনজনসহ এ মামলায় ৩৭ জনের বিচার এখনো চলছে। এদের মধ্যে ২৫ জন কারাবন্দি রয়েছেন। তবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে এখনো বিচার শেষ করা যায়রি বলেই দাবি ভুক্তভোগীরা।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]