35623

08/05/2025 জুলাই আন্দোলনে ঐক্য থাকলেও বুদ্ধিজীবীদের পাশে পাইনি: গভর্নর

জুলাই আন্দোলনে ঐক্য থাকলেও বুদ্ধিজীবীদের পাশে পাইনি: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ আগস্ট ২০২৫ ২০:৪৬

দেশে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে দেশের বুদ্ধিজীবীরা খুব একটা ভূমিকা রাখেননি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে যখন জনগণ যোগ দেয়, তখন কোনো সরকারই টিকতে পারে না। এবারের জুলাই আন্দোলনে আমরা সেই ঐক্য দেখেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এবারের আন্দোলনে দেশের বুদ্ধিজীবীদের পাশে পাইনি। তারা ৬৯ ও ৭১ সালের মতো নেতৃত্ব দেননি, বরং বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বিক্রি হয়ে গেছেন।

সোমবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন গভর্নর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। ‘মার্চ টু ঢাকা’ ছিল স্বৈরাচার পতনের সূচনা। সবসময় ছাত্ররাই নেতৃত্ব দিয়েছে। একসময় আমরা হতাশ ছিলাম, ছাত্রদের মাঝে সহনশীলতা এসেছিল, কিন্তু তারাও আবার জেগে উঠেছে। ছাত্রদের সঙ্গে যখন সাধারণ জনগণ মিলে যায়, তখন কোনো স্বৈরাচারি সরকারই টিকতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছি। মূল্যস্ফীতি এখনো ৮ শতাংশের ওপরে রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য তা ৩ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। ব্যাংকিং খাতের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন। এজন্য আমরা একটি নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইন প্রণয়ন করছি, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। আইনটি বাস্তবায়িত হলে ব্যাংক খাত একটি সুশাসনের কাঠামোয় প্রবেশ করবে এবং অতীতের মতো আর অরাজকতা হবে না।

গভর্নর বলেন, আমরা এমন একটি আর্থিক খাত গড়তে চাই, যা আগের অবস্থায় ফিরে না যায়। অর্থ উপদেষ্টা আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশাবাদী। ব্যাংক কোম্পানি আইন বাস্তবায়ন হলে সংকট থাকবে না। শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না, আমরা আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করবো—সেই সঙ্গে দেশের স্বার্থও রক্ষা হবে।

অনুষ্ঠানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, জুলাইজুড়ে চলা আন্দোলন ছিল কোটা সংস্কার থেকে শুরু হয়ে স্বৈরাচার পতনের এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। এটাকে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলি। শহীদের রক্তের ঋণ শোক প্রকাশে শোধ হবে না, তবে আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সেই ঋণের কিছুটা হলেও মর্যাদা রক্ষা করা যাবে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]