চীন সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রিত শহর লাইজায় আকস্মিক বন্যা শুরু হয়েছে। মৌসুমি এই বন্যায় বুধবার (৬ আগস্ট) ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে আকস্মিক বন্যা শুরু হয়।
লাইজা শহরটি কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) একটি শক্ত ঘাঁটি। অঞ্চলটি কয়েক দশক ধরে নিজস্ব জাতিগত প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের সবচেয়ে শক্তিশালী দলগুলো মধ্যে একটি।
কেআইএ মুখপাত্র নাও বু বলেন, প্রচুর পানি পাহাড় বেয়ে নদীতে প্রবাহিত হয়। পানির প্রবাহ খুব বেশি ছিল। এতে নদীর আশেপাশের এলাকাগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, বন্যায় ৬ জন নিহত এবং অন্তত ১০০টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। বুধবার উদ্ধার অভিযান শুরু হলেও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা ব্যাহত হচ্ছে।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসিন্দা বলেন, পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় সমস্ত রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকায় রাস্তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের কারণে বর্তমানে মায়ানমারে ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। স্থানীয় বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলোর আশেপাশেও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল; কিছু আশ্রয়কেন্দ্র ভেসে গেছে এবং মানুষ আহত হয়েছে।
মিয়ানমারে বর্ষা মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিদিন বন্যা দেখা দেয়। তবে বিজ্ঞানীরা জানান, মানবসৃষ্ট কারণে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে বিপজ্জনক আবহাওয়ার ঘটনাগুলো আরও ঘন এবং তীব্র হয়ে উঠছে।