36438

08/14/2025 শুধু চীন নয়, বাংলাদেশেও জনপ্রিয় খাবার পাথর!

শুধু চীন নয়, বাংলাদেশেও জনপ্রিয় খাবার পাথর!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৯:১৭

গরম কড়াইয়ে ভাজা হচ্ছে নুড়ি পাথর। রাঁধুনি কিছু নুড়ি পাথর ফ্রাই প্যানে নিয়ে তাতে মরিচ তেল ছিটিয়ে দিচ্ছেন, পরবর্তী ধাপে পাথরগুলোর উপরে দেওয়া হচ্ছে রসুনের সস, তারপর এতে লবঙ্গ এবং কুচি করা মরিচ মিশিয়ে আবার খানিক ভেজে তা পরিবেশন করা হচ্ছে- এমন একটি মুখরোচক পাথর ভাজার ভিডিও বছর কয়েক আগে ছড়িয়ে পড়েছিল নেট দুনিয়ায়।

ভিডিওটি ছিল চীনের। চীনে ব্যাপক জনপ্রিয় ওই খাবারের নাম ‘সুওডিউ’। যার অর্থ, চুষে ফেলে দিতে হয় যে খাবার। এবার চীনের পর পাথর খাওয়ার আরেক দৃশ্য সামনে এসেছে। তবে সেটা চীন নয়, বাংলাদেশে। এখানেও জনপ্রিয় খাবার হয়ে উঠেছে পাথর। তাইতো সিলেটের ভোলাগঞ্জে দেখা গেছে পাথর খেকোদের দৌরাত্ম্য। রাতারাতি লুট হয়ে গেছে সাদা পাথর। আর এতেই ধু-ধু মরুর আকার নিয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। সিলেটে সাদা পাথর গায়েব হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় পুরো দেশ। কিন্তু এ নিয়ে পাথর খেকোদের মাথাব্যথা নেই।

বাংলাদেশের ভোজনরসিকদের কাছে পাথর খুব জনপ্রিয় খাবার না হলেও চীনে কিন্তু এই পাথর ভাজা বেশ মুখরোচক। সুওডিউ চিবিয়ে খাওয়া যায় না। তা হলে আর কোনোও মানুষের দাঁত আস্ত থাকার কথা নয়। তাহলে কীভাবে খেতে হয় এই খাবার?

সুওডিউ খেতে হয় চুষে। রান্না করা পাথর ভালো করে চুষে ফেলে দিতে হয়। একে একে পাত্রে থাকা সব পাথরগুলো চুষে ফেলে দেওয়ার পর পাত্রের তলায় পড়ে থাকে ঝোল। পূর্ব চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে শুরু হলেও বর্তমানে চীনের অনেক শহরেই সুওডিউ পাওয়া যায়। রাস্তার পাশের মুখরোচক খাবারের দোকানেই বেশি বিক্রি হয় এই খাবার।

কীভাবে তৈরি হয় জনপ্রিয় এই চীনা খাবার?

প্রথমে নদীর ধার থেকে গোল এবং চ্যাপ্টা নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে সেগুলো ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়। ধোয়ার পর পাথরগুলোকে মরিচের সস, পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো এবং বিভিন্ন মশলা দিয়ে ভাল করে ভেজে নেওয়া হয়। এরপর সেগুলো পাত্রে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করা হয়। চীনে এক প্লেট সুওডিউ খেতে খরচ হয় বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫০-২৭০ টাকার মত।

মনে করা হয়, শত শত বছর আগে চীনের মাঝি সম্প্রদায়ের হাত ধরে সুওডিউ এর উৎপত্তি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নৌকার মাঝিদের মুখে মুখে এই খাবারের কথা ছড়িয়ে পড়েছিল। নৌকায় খাবার না থাকলে এভাবেই নাকি পাথর রান্না করে খেতেন মাঝিরা। বহু দিন প্রচারের বাইরে থেকে সম্প্রতি এই পদ আবার জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]