36569

08/18/2025 যে সুরায় একসঙ্গে ৪ অবাধ্য সম্প্রদায়ের করুণ পরিণতি বর্ণিত হয়েছে

যে সুরায় একসঙ্গে ৪ অবাধ্য সম্প্রদায়ের করুণ পরিণতি বর্ণিত হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক

১৭ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৫৭

সুরা আল কামারে আল্লাহ তায়ালা পূর্ববর্তী চারটি সম্প্রদায়ের আলোচনা করেছেন। এই সম্প্রদায়গুলো তাদের সময়ের নবীর কথা শুনেনি এবং আল্লাহর ওপর ঈমান আনেনি। অবাধ্য ও পাপাচারে লিপ্ত থাকার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। এই সম্প্রদায়গুলো হলো—

নুহ আ.-এর সম্প্রদায়, আদ সম্প্রদায়, সামুদ সম্প্রদায়, লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়, ফেরাউন সম্প্রদায়। আল্লাহ তায়ালা তাদের ওপর আরোপিত শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এই সুরাতে।

নুহ আ.-এর সম্প্রদায়

আল্লাহ তায়ালা হজরত নূহ আলাইহিস সালামকে প্রায় ১ হাজার বছরের বেশি জীবন দান করেছিলেন। একইসঙ্গে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান ও সুপথে পরিচালিত করার দায়িত্ব দিয়ে তাকে নবী বানিয়েছিলেন।

নূহ আলাইহিস সালাম পুরো জীবন নিজ সম্প্রদায়ের মানুষদের আল্লাহর একত্ববাদরে দিকে আহ্বান করেছেন। কিন্তু তার সম্প্রদায়ের লোকজন নবীর কথায় সাড়া দেয়নি। উল্টো তার ওপর বিভিন্ন পন্থায় নির্যাতন করেছে, কখনো কখনো তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করেছে।
শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রাণপণ চেষ্টা করেও নূর আলাইহিস সালামের সম্প্রদায় আল্লাহ তায়ালার ওপর ঈমান আনেনি। তাদের ঔদ্ধত্য বেড়ে যাওয়ায় আল্লাহ তায়ালা ঈমানদার ছাড়া বাকিদের বন্যা দিয়ে সমূলে ধ্বংস করে দেন।

আদ সম্প্রদায়

আদ সম্প্রদায় ছিল সুঠামদেহী ও শক্তিশালী। এই সম্প্রদায়ের ১৩টি পরিবার বা গোত্র ছিল। আম্মান থেকে শুরু করে হাযারামাউত ও ইয়ামন পর্যন্ত তাদের বসতি ছিল। তাদের ক্ষেত-খামারগুলো ছিল অত্যন্ত সজীব ও শস্যশ্যামল। তাদের প্রায় সব ধরনের বাগ-বাগিচা ছিল।

আল্লাহ তায়ালা তাদের হেদায়াতের জন্য তাদেরই মধ্য থেকে হূদ আ.-কে নবী হিসাবে প্রেরণ করেন। তিনি তাদেরকে সত্যের পথে আহ্বান করেন। কিন্তু তারা হজরত হুদ আ.-এর আহ্বানে সাড়া দিল না। নিজেদের পাপাচারে লিপ্ত থাকলো। ফলে আল্লাহ তায়ালা হুদ আ. ও মুমিনদের ছাড়া তার সম্প্রদায়ের অন্যদের শাস্তির মাধ্যমে ধ্বংস করে দিলেন।

সামুদ সম্প্রদায়

সামুদ সম্প্রদায়ের নবী ছিলেন হজরত সালেহ (আ.)। তিনি তাদেরকে আল্লাহর পথে আহ্বান করলেন। কিন্তু তারা তার ডাকে সাড়া দিল না। উল্টো আল্লাহর পক্ষ মুজিজা দাবি করলো। আল্লাহর কাছে দোয়া করে নবী সালেহ (আ.) মুজিজা হিসেবে পাথর থেকে একটি উট বের করলেন। এরপরও তারা আল্লাহর ওপর ঈমান আনলো না। মুজিজা ধ্বংসের চেষ্টা করলো। তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের সমূলে ধ্বংস করে দিলেন।

লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়

লুত (আ.)- এর সম্প্রদায় পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম একটি পাপাচারের সূচনা করেছিল। তারা সমকামিতায় লিপ্ত ছিল। তাদের আগে এই পাপাচারে অন্য কেউ লিপ্ত হয়নি। আল্লাহর নবী লুত (আ.) তাদের এই পাপাচার থেকে বিরত থাকতে বললেন। কিন্তু তারা বিরত হলো না। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাদের ধ্বংস করে দিলেন।

ফেরাউন সম্প্রদায়

মিশরের বাদশা ছিল ফেরাউন। ৪০০ বছর রাজত্ব করেছিল সে। সে নিজেকে খোদা দাবি করে বসেছিল। তাকে ও তার সম্প্রদায়ের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তায়ালা মুসা (আ.)-কে প্রেরণ করেছিলেন। নবী মুসা (আ.)-কে ৯টি মুজিজা দিয়েছিলেন। সবগুলো প্রত্যাখ্যান করে মুসা (আ.) ও ঈমানদের ধ্বংস করতে চেয়েছিল। ফলে আল্লাহ তায়ালা ফেরাউন ও তার অনুসারীদের নীলনদে ডুবিয়ে ধ্বংস করলেন।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]