নারীর সঙ্গে সাজগোজের সম্পর্ক বেশ পুরনো। কেউ কম সাজেন, কেউবা বেশি। তবে সাজগোজের কথা আসলেই যে কয়েকটি প্রসাধনীর কথা প্রথমেই মাথায় আসে তার মধ্যে লিপস্টিক একটি।
ঠোঁটজোড়া সাজাতে নানা রঙের লিপস্টিক বেছে নেন নারীরা। কিন্তু যদি শোনেন এই লিপস্টিকই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে? হ্যাঁ, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
গাঢ় হোক কিংবা ন্যুড— রং দেখে লিপস্টিক বাছাই করবেন না। ত্বকের রোগের চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে সতর্ক করছেন। তারা বলছেন, প্রসাধনীতে এমন অনেক উপাদান থাকে যা অ্যালার্জি এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, প্যারাবেন ও বিপিএ— এই দুটো উপাদানই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। বিপিএ হলো এন্ড্রোক্রাইন ডিজরাপ্টিং কেমিক্যাল যা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিপস্টিক কেনার সময় দুটো উপাদান দেখে নেওয়া দরকার। বিপিএ এবং প্যারাবেন। এই দুই উপাদানই ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
বিপিএ বা বিসফেনল মূলত প্লাস্টিকের কৌটায় পাওয়া যায়। প্রসাধনী প্লাস্টিকের কৌটায় থাকলে এই রাসায়নিক থাকতে পারে। এই ধরনের উপাদান শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
একই সঙ্গে দেখতে হবে লিপস্টিকে মিথাইল প্যারাবেন বা প্রোপাইল প্যারাবেন আছে কি না। লিপস্টিকে ‘পিপিএ ফ্রি’ বা ‘প্যারাবেন ফ্রি’ লেখা থাকলে তবেই কেনা দরকার।
পাশাপাশি ত্বকের চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন, কোনো প্রসাধনী ব্যবহারের আগে মুখে ময়েশ্চারাইজার মাখা দরকার। লিপস্টিক ব্যবহারের আগেও ঠোঁটে লিপবাম লাগিয়ে নিন। এছাড়া কিছুক্ষণ পর পর লিপস্টিকের ওপর লিপস্টিক বুলিয়ে নেওয়ার প্রবণতাও ক্ষতিকর হতে পারে।
এছাড়াও দিনের শেষে মেকআপ ভালো করে তুলে তবেই ঘুমাতে যাওয়া উচিত। যত দ্রুত সম্ভব লিপস্টিক তুলে ফেললে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা এড়ানো যায়।
ডিএম/রিয়া