ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অতীতে যারা জয়ী হয়েছেন, তারা অনেকেই জাতীয় রাজনীতিতে বড় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনমান বা সমস্যার কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে লড়তে যাওয়া সাদিক কায়েম।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে ফরম জমা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ডাকসুকে অনেকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছেন, কিন্তু শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সে অর্থে কেউ কাজ করেননি। আমরা সেই পুরনো ধারা ভাঙতে চাই।
সাদিক কায়েম জানান, তারা জুলাইয়ের চেতনা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থকেই সামনে রেখে নির্বাচন করতে চান।
তিনি বলেন, আমাদের ইশতেহারে থাকছে শিক্ষার্থীদের বাস্তব দাবি। অতীতে যেসব কমিটি এসেছে, তাদের সময়ে সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা চাই পরিবর্তন। ডাকসু যেন আবার শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার জায়গা হয়ে ওঠে।
সাদিক অভিযোগ করেন, মনোনয়ন ফরম জমার সময় হঠাৎ করে বাড়ানো হয়েছে, যা একটি বিশেষ দলের প্রতি পক্ষপাতের ইঙ্গিত দেয়। তিনি দাবি করেন, প্রশাসনের কিছু শিক্ষক একপক্ষীয় আচরণ করছেন এবং তাদের রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষকরা যেন নিরপেক্ষ থাকেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী এস এম ফরহাদও একই অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র জমার সময় বাড়ানো হয়েছে কোনো আলোচনায় না গিয়ে। এতে ইসির নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
ফরহাদ আরও অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমে তাদের প্যানেল নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফ্রেমিং হচ্ছে। অনেকেই একে শিবিরের ‘প্রথম প্রকাশ্য প্যানেল’ বলে প্রচার করছে, যা ইতিহাস বিকৃতি।
তিনি বলেন, ১৯৭৯ সাল থেকেই শিবির ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করে আসছে। আগের পাঁচটি নির্বাচনের মধ্যে পাঁচবারই প্যানেল দিয়েছে। অনেক প্রার্থী নির্বাচিতও হয়েছেন।
তিনি স্পষ্ট করেন, এবারের নির্বাচনে শিবির বা ঐক্যবদ্ধ জোট নতুন কোনো পরীক্ষা দিচ্ছে না। বরং তারা অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কার্যকর নেতৃত্ব গড়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে।
ডিএম/রিয়া