36794

08/21/2025 আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসের লাগাম টানতে বলল চীন-পাকিস্তান

আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসের লাগাম টানতে বলল চীন-পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ আগস্ট ২০২৫ ১০:৩৫

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান কর্তৃপক্ষকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে ওঠা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান ও চীন।

একইসঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (সিপিইসি) আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে তারা। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তান-আফগানিস্তান-চীনের ত্রিপক্ষীয় সংলাপের ষষ্ঠ বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। তালেবানের ক্ষমতায় ফেরার পর কাবুলে প্রথমবারের মতো এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠক ও এর বাইরে আলাদা আলোচনায়ও নিরাপত্তা ছিল প্রধান আলোচ্য বিষয়।

এছাড়া পাকিস্তান ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আফগান নেতাদের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন।

জাতিসংঘের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে আফগানিস্তান আবারও ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে), তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি), ইস্ট তুর্কেস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম) ও আল-কায়েদার ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তান ও চীন এই গোষ্ঠীগুলোকে নিজেদের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখছে।

চীনের মধ্যস্থতায় গত মে মাসে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সমন্বয়ের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল। তখন বেইজিং জানিয়েছিল, ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রকল্প, বিশেষত মেস আইনাক কপার খনি উন্নয়ন, ইটিআইএম দমনের ওপর নির্ভর করবে।

কাবুলে আফগান ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুঃখ প্রকাশ করেন যে, তালেবানরা সন্ত্রাস দমনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না।

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে উৎসাহব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা, বিশেষত সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতায় অগ্রগতি খুব ধীর।”

দার সাম্প্রতিক সময়ে আফগান মাটি থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ তুলে টিটিপি ও বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির বিরুদ্ধে “সুনির্দিষ্ট ও যাচাইযোগ্য ব্যবস্থা” নেওয়ার আহ্বান জানান।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ চলতি বছরের জুলাইয়ে জানায়, আফগানিস্তানে তালেবানদের সহযোগিতায় টিটিপি’র প্রায় ছয় হাজার যোদ্ধা সক্রিয় রয়েছে। উন্নত অস্ত্র, আইএস-কে, আল-কায়েদা ও বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে তারা শুধু ২০২৪ সালের শেষার্ধে পাকিস্তানে ৬০০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে, যেখানে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

মূলত চীনের মধ্যস্থতায় এ বছর কাবুল ও ইসলামাবাদের সম্পর্কে কিছুটা অগ্রগতি হলেও পরিস্থিতি এখনো অসম। পাকিস্তান আবারও রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করেছে। জুলাইয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি তালেবান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানির সঙ্গে বৈঠক করে সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ সমন্বয় কমিটি পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]