ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়েছে। অল্প বয়সেই আপনি বার্ধক্যের রূপ ধারণ করেছেন। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা আপনার—কীভাবে দূর করবেন এ বার্ধক্যের ছাপ। কী করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। আর এ সমস্যা দূর করতে হলে আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলেই হবে না। এর পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে। আপনার যদি সত্যি সত্যি কোমল ও সতেজ ত্বক চান, তাহলে তা শুধু বাহ্যিক যত্ন নয় – প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি ও খাদ্য। আর সঠিক খাবার খেলে ত্বকের আর্দ্রতা, দৃঢ়তা এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখা সম্ভব। তবেই আপনার শরীরের অভ্যন্তরের ত্বকের স্বাভাবিক রূপ ধারণ করবে। আপনার ত্বক হয়ে উঠবে অপরিহার্য।
তাই সপ্তাহে কয়েক দিন সালাদ, সামুদ্রিক মাছ এবং রঙিন ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এটি আপনার ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবারগুলো ত্বকে অতিরিক্ত বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না—
প্রথমত আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফল ও সবজি রাখতে হবে। এই যেমন— গাজর, টমেটো, পেঁপে, আম – এসব রঙিন ফল ও সবজিতে থাকে ক্যারোটিনয়েড, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে— ক্যারোটিনয়েড ত্বকের আর্দ্রতা এবং সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
দ্বিতীয়ত: পানি ও হাইড্রেশন রুটিনমাফিক খেতে হবে। প্রচুর পানি পানের পাশাপাশি ফল, সবজি ও হালকা প্রোটিন গ্রহণ ত্বককে রাখে আর্দ্র ও স্বাস্থ্যকর। হাইড্রেটেড ত্বক স্বাভাবিক উজ্জ্বল ও স্নিগ্ধ থাকে।
এছাড়া ভিটামিন 'সি' সমৃদ্ধ খাবার যেমন—লেবু, কমলা, আমলকী খেতে হবে। কারণ ভিটামিন সি স্বকের জন্য উৎকৃষ্ট উৎস। ভিটামিন সি প্রাকৃতিক কোলাজেন উপাদানকে উৎসাহিত করে, যা ত্বকের টোন উন্নত করে এবং ত্বক টানটান রাখে।
আবার ওমেগা‑৩ ফ্যাটি অ্যাসিড নিয়মিত খেতে হবে। স্যালমন, সেরডিন, হেরিং – এসব মাছ ওমেগা‑৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ। ওমেগা‑৩ ত্বকের প্রদাহ কমায়, সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের ফ্লেক্সিবিলিটি উন্নত করে। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত ওমেগা‑৩ থাকলে, তা ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ রাখে।
এ ছাড়া প্রোটিন, কপার, আয়রন ও জিঙ্ক ত্বকের কোষ গঠন এবং ক্ষত মেরামতের জন্য অপরিহার্য। প্রোটিন শরীরের কোষ পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে এবং ট্রেস মিনারেল ত্বককে সুস্থ রাখে।
ডিএম/রিয়া