সংগীতশিল্পী পারশা মাহজাবীন পূর্ণী। কাঁধে, মাথায়, হাতে পাখি নিয়ে গান ও নান্দনিক পরিবেশনা দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করে থাকেন তিনি। মূলত ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে চারিদিকে ছড়াতে থাকে পারশার এসব পরিবেশনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে তিনি সংগীত নিয়ে কথা বলেছেন। যেখানে উল্লেখ করেছেন যে, ‘যদি উদ্দেশ্য হয় সস্তা নেগেটিভ মার্কেটিং তবে বলার কিছু নেই।’
তার কথায়, ‘ক্লাসিকাল সংগীতকে “বোরিং” বলে উপস্থাপন করা মানে শত শত বছরের সাধনা, ঐতিহ্য ও শিল্পকীর্তিকে উপহাস করা। সেতারকে গিটার বানানো, তবলাকে নাচের উপকরণে নামিয়ে আনা, এসব দৃশ্য কেবল অশালীনই নয়, বরং এক ধরনের সাংস্কৃতিক অবমাননা।’
‘এটি শিল্পকলার প্রতি অশ্রদ্ধা, আর শিল্পীর সাধনার প্রতি তাচ্ছিল্যের প্রকাশ। প্রতিটি সংগীতধারা তার নিজস্ব ব্যঞ্জনা ও মহিমায় অনন্য। ক্লাসিকাল তার গভীরতা ও শুদ্ধতায়, রক বা পপ তাদের শক্তি ও আবেগে।’
পারশা লিখেছেন, ‘একটিকে হেয় করে অন্যটিকে “কুল” বানানোর প্রয়াস কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয়, বরং মার্কেটিং কৌশলের নামে চিন্তার দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করা। যদি উদ্দেশ্য হয় সস্তা নেগেটিভ মার্কেটিং, তবে বলার কিছু নেই।’
শেষে বলেন, ‘কিন্তু যদি সত্যিই তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করাই লক্ষ্য হয়, তবে এটি এক আত্মঘাতী পদক্ষেপ। কারণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও শিল্পকে পদদলিত করে কোনো ব্র্যান্ড দীর্ঘমেয়াদে সম্মান অর্জন করতে পারে না বরং কেবল ঘৃণা ও উপহাস কুড়ায়।’
ডিএম/রিয়া