চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বহুল আলোচিত মো. ইসমাইল হত্যা মামলার বয়স প্রায় সাড়ে তিন দশক। ১৯৯১ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মামলার বাদী ও নিহতের বাবা আবদুল মোতালেব দীর্ঘ ১৮ বছর আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। ছেলে হত্যার বিচার দেখতে না পেয়ে তিনি মারা যান ২০০৯ সালে। এরপরও মামলাটি নিষ্পত্তি হয়নি। পরপর আট দফায় রায়ের দিন ধার্য হলেও শেষ মুহূর্তে তারিখ পিছিয়ে গেছে। অবশেষে সর্বশেষ রায়ের তারিখও উল্টে দিয়ে নতুন করে যুক্তিতর্ক শোনার দিন ধার্য করেছে আদালত। এতে হতাশায় ভুগছেন ভুক্তভোগীর স্বজনেরা।
মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৯৯১ সালের ২ জুলাই রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কালিপুর এলাকায় ঘটে এই হত্যাকাণ্ড। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন মো. ইসমাইলকে। এ খুনের ঘটনায় পরদিন ৩ জুলাই নিহতের বাবা আবদুল মোতালেব রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
বর্তমানে চট্টগ্রাম জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালে চলছে মামলাটির বিচারক কার্যক্রম। মামলার রায়ের প্রথম তারিখ ছিল চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১০ মার্চ, ২২ এপ্রিল, ২৭ মে, ২৩ জুন ও সর্বশেষ ২১ জুলাই মামলাটির রায়ের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন রায়ের তারিখ উল্টে যুক্তিতর্কের জন্য মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিন ধার্য করেন জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সেলিম।
এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন জানান, মামলা ও রায়ের তারিখ সম্পর্কে আমি কোনো কিছু বলব না।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, এত দিন একটা চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারকাজ চলা বেদনাদায়ক।
আলোচিত মামলাটির সাক্ষী ও ভুক্তভোগীর ভাই মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ভাই হত্যার বিচার কখন পাব জানি না। ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে বাবা ১৮ বছর আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরে দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। আর কত অপেক্ষায় থাকব?