গেল কোরবানি ঈদে দর্শকের মনে ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয় ‘এশা মার্ডার’। সিনেমাটিতে নামভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসিত হন পূজা এগনেজ ক্রুজ। দর্শক চরিত্রের নামে ডেকেছেন তাকে। এরমধ্যে কেটে গেছে তিন মাস। সময়টা কীভাবে কাটছে পূজার?
‘যখন হাল ছেড়ে দিলাম তখন একটা ফোনকল আমার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এলো’
জানতে চাইলে ঢাকা মেইলকে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এশা মার্ডার’ আমি একটা ক্যারেক্টারে ছিলাম। এখন নতুন কিছুর জন্য নিজেকে প্রস্তত করছি। জিমে সময় কাটাচ্ছি। সবকিছু আবার আগের মতো করার চেষ্টা চলছে।’’
‘এশা মার্ডার’-এর সাফল্যের পর নির্মাতাদের অনেকে যোগাযোগ করেছেন পূজার সঙ্গে। তার ভাষায়, ‘অনেক গুণী পরিচালক আমার প্রশংসা করেছেন। অনেক নির্মাতা যোগাযোগ করেছেন। অনেকের সঙ্গে কথা হচ্ছে। কিন্তু দেশের অবস্থা ভালো না। ওই জায়গা থেকে হয়তো প্রোজেক্টগুলো একটু দেরিতে হবে।’
সিনেমা হলের পর ইউটিউবেও দর্শকের সমাদর কুড়িয়েছে ‘এশা মার্ডার’। উচ্ছ্বসিত পূজা বলেন, ‘‘ইউটিউবে ৫ দিনে এক মিলিয়ন দর্শক দেখেছেন ‘এশা মার্ডার’। বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে। আগে ইনবক্স চেক করতাম না। এখনব করি। কেননা ছবিটি দেখে অনেকে চিনছেন, জানছেন, নক করছেন। প্রশংসা করছেন।’’
‘এশা মার্ডার’ কতটা বদলে দিয়েছে পূজাকে— জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি র্যাম্পে ছিলাম। লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা থেকে এসেছি। আগে কোথাও গেলে যারা আমাকে টুকটাক চিনতেন তারা বলতেন, আপনি লাক্সে ছিলেন না? ‘এশা মার্ডার’ করার পর কোথাও গেলে বলে, আপু আপনি ‘এশা মার্ডার’-এর এশা না? এই পরিবর্তনটুকু এসেছে। অনেকে টেক্সট করেন, আপু, আপনার অভিনয় এতো ভালো লেগেছে এজন্য আপনার আইডি খুঁজ বের করেছি।’’
তবে বারবার এশা হয়ে ধরা দিতে চান না পূজা। তিনি বলেন, ‘একই ধরণের কাজ করতে ইচ্ছুক নই। চাচ্ছি আমার দ্বিতীয় কাজটি যেন একবারে ভিন্ন হয়। ওই ধরণের চরিত্র খুঁজছি। আমার সঙ্গে যায় কিনা সেটিও দেখছি। পাশাপাশি গল্প, নির্মাতাও বিষয়। সবকিছু মিলিয়ে যদি ভালো লাগে তাহলে করব।’
কথায় কথায় পূজা জানালেন ওটিটি মাধ্যমেও নাম ঢুঁ মারছেন তিনি। এররইমধ্যে এক পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। তবে বিস্তারিত বলতে চাইলেন না। কাজ হলে জানাবেন।