পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিকিউরিটিজ আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করায় গত মাস জুলাইয়ে চার ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই মাসে আইন লঙ্ঘনের অপরাধে আরও ১৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগ থেকে চিঠি ইস্যু করে এই জরিমানা আরোপ ও সতর্কতার বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান খানকে এক লাখ টাকা, পরিচালক মো. মেজবাহউদ্দিনকে এক লাখ টাকা এবং আরেক পরিচালক আসিফ ইসলাম খানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষাসহ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা রক্ষা করাই কমিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য ও কর্তব্য। তাই কমিশন সিকিউরিটিজ আইন ও বিধি-বিধান পরিপালনে ব্যর্থতার জন্য এবং পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ ও প্রতিষ্ঠানটির তিন পরিচালককে জরিমানা করেছে।
সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, এই জরিমানার অর্থ আদেশ পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসির কাছে ব্যাংক ড্রাফট কিংবা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। যদি সংশ্লিষ্টরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানার অর্থ কমিশনে জমা না দেয়, তাহলে বিএসইসি সিকিউরিটিজ আইন মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
এদিকে, সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করায় বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ প্রতিষ্ঠান দুটির আরো ১২ জনকে সর্তক করেছে বিএসইসি। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চার পরিচালক, কোম্পানি সেক্রেটারি, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা এবং বেক্সিমকো ফার্মার চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, চার পরিচালক, কোম্পানি সেক্রেটারি, প্রধান অর্থ কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে সর্তক করা হয়েছে। এর বাইরে এম জে আবেদিন অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের জন্য সর্তক করা হয়েছে।