ইউজিসির দ্বিপাক্ষিক মিটিংয়ে এসিসিই বিভাগের ডিগ্রি জটিলতা নিরসনে স্পষ্ট সমাধান না আসায় প্রতিবাদ জানিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৩টা থেকে তালা দিয়ে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্মারকলিপি দিয়েও নোবিপ্রবির অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিগ্রি-সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হয়নি। ইউজিসির অজুহাতে এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা শুধু আশ্বাসেই আটকে আছেন। অন্য বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা স্নাতক শেষ করলেও এই বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা সাত মাস ধরে বন্ধ। এতে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর শঙ্কায় রয়েছেন।
এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, নোবিপ্রবির অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে— ডিগ্রি-সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান ও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত বিভাগ এবং প্রশাসনিক ভবন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায়সঙ্গত এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সব মহল আমাদের দাবি বাস্তবায়নে পাশে দাঁড়াবেন।
আব্দুর রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ইউজিসি বলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে একটি ডিগ্রি দেয়, আমাদেরও একইভাবে ডিগ্রি দেবে। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে দিচ্ছে সেভাবে আমাদের দিতে অসুবিধা কোথায়। আমরা মনে করি এখানে ঢাবি সিন্ডিকেট কাজ করে। আমরা তাই এর প্রতিবাদ জানাই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
একা তালুকদার নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবি প্রশাসন মেনে নিচ্ছে না। ২০১৩ সাল থেকে এই দাবি আদায়ে আন্দোলন হচ্ছে। প্রশাসন হবে হচ্ছে বলে আমাদের দেরি করিয়েছে। এবার দাবি আদায় নাহলে আমাদের আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এএফএম আরিফুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। এটি দীর্ঘদিনের জটিলতা। আমরা চাই নিরসন হোক। তবে তালাবদ্ধ থাকায় প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে কেউ ঢুকতে পারছে না আবার কেউ বের হতেও পারছে না।