কক্সবাজারে ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-এর ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দর্শকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কক্সবাজার সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন, একাধিক সাংবাদিকসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনাল ম্যাচে রামু ও টেকনাফ উপজেলা ফুটবল দল মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত দর্শকচাপ, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের কারণে ম্যাচটি স্থগিত ঘোষণা করে আয়োজক কমিটি।
১০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে প্রায় ৫০ হাজার দর্শক উপস্থিত হন। বিকেল ৪টার দিকে গ্যালারি উপচে দর্শকরা মাঠে নেমে পড়েন এবং স্টেডিয়ামের গেট ভেঙে ফেলা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ দর্শকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়ে ভাঙচুর শুরু করেন।
ঘটনাস্থলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মাহবুব উল আলম। তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এক সদস্য অভিযোগ করে বলেন, আয়োজক কমিটির গাফিলতির কারণেই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে জেলার ৯টি উপজেলা অংশ নেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত স্টেডিয়াম এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। চারপাশে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যস্ত থাকায় এখন পর্যন্ত কারও পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।