39043

09/20/2025 নিজের পিসিওএস ও ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন 

নিজের পিসিওএস ও ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন 

বিনোদন ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৪১

বলিউডের জনপ্রিয় কনেটেন্ট ক্রিয়েটর কুশা পিলা তার পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম) নিয়ে নিজের যাত্রা সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে কীভাবে এই রোগ তার শারীরিক চেহারায় প্রভাব ফেলেছে, তা জানিয়েছেন তিনি।

সোহা আলি খানের পডকাস্ট অল অ্যাবাউট হার-এ এক সাম্প্রতিক আলোচনায় কুশা জানান, আমি প্রথম বুঝতে পারলাম যে কিছু সমস্যা আছে যখন কিশোর বয়সে অতিরিক্ত চুল গজানো শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রায় ১৮–১৯ বছর বয়সে পিসিওডি-তে আক্রান্ত হয়েছিলাম। আমার ওজন কেন স্থিরভাবে বাড়ছিল, তা আমি কখনো বুঝতে পারিনি। ১০–১১ বছর বয়সে আমার প্রথম পিরিয়ড হয়েছিল এবং নবম শ্রেণিতে এসে এমন ওজন বেড়ে গিয়েছিল যা আর কমতে চাইছিল না। ডাক্তার বলেছিলেন, আমার পিসিওডি ওজনের সঙ্গে যুক্ত এবং ওজন কমানোর চাপ ছিল। কিন্তু আমি নিজেই নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিলাম—এর সঙ্গে অনেক লজ্জাও জড়িত।

ডা. রঞ্জনা ধানু, যিনি এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, তিনি ব্যাখ্যা করেন, পিসিওডির মূল সমস্যা হলো ডিম্বাণুর মুক্তিতে অসুবিধা। আটকে থাকা ডিম্বাণু অতিরিক্ত পুরুষ হরমোন উৎপন্ন করে, যার ফলে চুল, থুতু বা পেটে চুল, এবং পিঠে ব্রণের মতো লক্ষণ দেখা দেয়। পিসিওডিতে প্রোল্যাক্টিনের অতিরিক্ততা থাকে, যা মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা, মেজাজের ওঠানামা, বিরক্তি, এবং অতিরিক্ত খাওয়ার কারণ হতে পারে। এর ফলে দেহে পানি ধরে ও ওজন বৃদ্ধি পায়।

এর পাশাপাশি কুশা কপিলা নিজের অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার সংক্রান্ত ডায়াগনোসিসের কথাও জানিয়েছেন। অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার সংক্রান্ত ডায়াগনোসিসের হলো একটি বিকাশজনিত সমস্যা, যা অতিরিক্ত অমনোযোগ, অতিসক্রিয়তা এবং অনিয়ন্ত্রিত আচরণের মাধ্যমে চিহ্নিত হয়।

কুশা কাপিলার এই খোলাখুলি আলোচনা সেই সব নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা, যারা পিসিওএস বা অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার সংক্রান্ত ডায়াগনোসিসের মতো সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]