পাকিন্তানের অন্যতম তারকা জুটি বিলাল আব্বাস খান ও হানিয়া আমির। হানিয়া-বিলাল অভিনীত নতুন পাকিস্তানি নাটক ‘মেরি জিন্দেগি হ্যায় তু’ মুক্তি পেয়েছে। প্রথম পর্ব প্রচারের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। তবে এই আলোচনার কেন্দ্রে প্রশংসা নয়, বরং চিত্রনাট্য নিয়ে দর্শকদের ক্ষোভ।
এআরওয়াই ডিজিটালে শুরু হওয়া এই নাটকে বিলাল আব্বাস খান অভিনয় করেছেন কামিয়ার চরিত্রে, যিনি একজন ধনীর দুলাল ও প্লেবয় হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, হানিয়া আমিরকে দেখা গেছে আয়রা নামের এক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও বাস্তববাদী ডাক্তার চরিত্রে। এটিই এই জনপ্রিয় জুটির প্রথম কাজ।
প্রথম পর্বে বিলাসবহুল ‘সাইবারট্রাক’ নিয়ে বিলালের নজরকাড়া এন্ট্রি এবং হানিয়ার চরিত্রের সাথে তার প্রথম সংঘাত এরই মধ্যে দর্শকদের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। যদিও এই জুটির রসায়ন বেশ প্রশংসিত হচ্ছে, তবে দর্শকরা নাটকের চিত্রনাট্যকে ‘ঘেয়ে যাওয়া’ ও ‘একঘেয়ে’ বলে সমালোচনা করছেন।
প্রথম পর্ব দেখে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। অনেকে সরাসরি জানিয়েছেন, চিত্রনাট্যে নতুনত্ব নেই। একজন দর্শক মন্তব্য করেছেন, "‘মেরি জিন্দেগি হ্যায় তু’-এর প্রথম পর্বটা খুব সাধারণ। আক্ষরিক অর্থে এটিই সেই জিনিস যা প্রত্যেক পাকিস্তানি চ্যানেল মাঝে মাঝে ভিন্ন 'ফন্ট'-এ তৈরি করে। আর প্লিজ, আমি জানতে চাই আয়রার মতো মেয়েরা কোথায় আছে যারা প্রকাশ্যে একজন উদ্ধত এবং বখাটে চেহারার মানুষের সাথে এভাবে ঝগড়া করে।’
আরেকজন দর্শক বলেন, ‘বিলাল আব্বাস তার ভেতরের শাহরুখ খানকে তুলে ধরেছেন। হানিয়া তার ভেতরের হানিয়াকেই ফুটিয়ে তুলেছেন। যদিও কিছু বখাটে ছেলে তবুও আমি কিছুটা উপভোগ করেছি। তবে পুরুষ চরিত্রটি বেশ ঘৃণ্য। আমি তাকে মোটেও সমর্থন করতে পারছি না, আশা করি তারা আমাদের সেটা করতে বলবে না।’
রাদাইন শাহের লেখা এবং মুসাদ্দিক মালিকেরপরিচালনায় ‘মেরি জিন্দেগি হ্যায় তু’ কি ‘ইশক মুর্শিদ’ বা ‘কাভি ম্যায় কাভি তুম’ -এর মতো ব্লকবাস্টার হতে পারবে? এর উত্তর দেবে সময়।