41062

11/27/2025 আসল কাজ না করে ধান্দা ছিল ‘মাদার অব হিউমেনিটি’ সেল করার

আসল কাজ না করে ধান্দা ছিল ‘মাদার অব হিউমেনিটি’ সেল করার

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৩

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা মনে করি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে যদি অনেক আগে থেকে প্রচেষ্টা চালানো হতো, তাহলে আসলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। কিন্তু তখন যেটা হয়েছে যে উনি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) ‘মাদার অব হিউম্যানটি’ সেল করতে চেয়েছিলেন। পতিত স্বৈরাচারের ধান্দা ছিল সেটা। ফলে যেটা হয়েছে ফোকাস চলে গেছে। এ কারণে ইউক্রেন যুদ্ধ, সুদানের গৃহযুদ্ধ, গাজায় গণহত্যার দিকে বৈশ্বিক মনোযোগ চলে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ১৯৭৮, ১৯৯১, ২০০৬ সালে এসেছে। সবচেয়ে বড় ঢল এসেছিল রোহিঙ্গাদের ২০১৭ সালের আগস্ট সেপ্টেম্বরে। তখন ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা এসেছিল। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা এ দেশে প্রবেশ করে, এটা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত এই সংকট আসলে ভুলে যাওয়া হয়েছিল। এই সংকট নিয়ে কেউ কোনও কথা সেভাবে বলেনি।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটা বড় সাফল্য হলো এই সংকটকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে আসা। এজন্য প্রফেসর ইউনূসের অনুরোধে এ বছর ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো একটা আন্তর্জাতিক কনফারেন্স হয়েছে রোহিঙ্গা নিয়ে। সেখানে রোহিঙ্গাদের চার জন নেতা কথা বলেছেন, শীর্ষ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা কথা বলেছেন। সেই কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ৯৬ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের কথাও বলেছে। এটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা মাইলস্টোন। জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশে সফর করেছেন এবং তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে রোজা রেখেছেন। তিনি আসার ফলে আবারও এই সংকট আন্তর্জাতিক আলোচনায় এসেছে।

প্রেস সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কক্সবাজারে একটি কনফারেন্স হয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহাতে কনফারেন্স হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা সবসময় আছে। এই সরকার প্রথম থেকে এসে এ বিষয়ে সিরিয়াস ছিল। প্রফেসর ইউনূস প্রথমে এসেই হাই-রেপ্রেজেন্টেটিভের একটা অফিস করলেন। আমরা মনে করি, এই সরকার যে প্রচেষ্টা নিয়েছে তার কারণে এখন পুরো পৃথিবী এই সংকট প্রসঙ্গে জানে। এটার ফলাফল হয়তো এখন পাচ্ছি না, সামনের দিনগুলোতে অবশ্যই পাব।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]