6772

04/25/2024 রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত শিক্ষা দিবস

রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত শিক্ষা দিবস

শিক্ষা ডেস্ক

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৪:৪৯

১৭ সেপ্টেম্বর ছিল মহান শিক্ষা দিবস। দিবসটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৯৬২ সালের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের ইতিহাস।

দীর্ঘ ৬০ বছর আগে পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম না-জানা অনেকেই। তাদের স্মরণেই এই দিনকে শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

তৎকালীন সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের ওপর বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতি চালু করে। সে সময়ের শিক্ষানীতি অনুযায়ী, তারা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চেয়েছিল শুধু ধনীশ্রেণির জন্য।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধের পাশাপাশি বাংলা বর্ণমালা সংস্কারেরও প্রস্তাব করা হয়েছিল। ভাষার পর শিক্ষানীতিতে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ মেনে নিতে পারেনি বাঙালি তরুণ ছাত্রসমাজ।

পাকিস্তান সরকারের এ শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।

সেদিনের সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ মিছিল করে। মিছিলটি প্রতিহত করতে পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে।

এই ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৭৩ জন আহত হন। এছাড়া ৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও মনে করা হয় রক্তাত সেই মিছিলে প্রাণ হারিয়েছিলেন নাম না-জানা আরও অনেকেই।

সে সময় সাক্ষরতার হার কম থাকলেও বাঙালি সমাজ চেয়েছিল পরবর্তী সমাজ যেন শিক্ষিত হয়ে ওঠে। তাই শিক্ষানীতির এমন বৈষম্য ও বাধা মেনে নিতে পারেনি দরিদ্র বাঙালি সমাজ। তবে নানা বাধা সত্ত্বেও শিক্ষার জন্য রক্ত দিয়ে পাকিস্তানিদের কুখ্যাত শিক্ষানীতি বাতিল করতে সমর্থ হয়েছিল অদম্য বাঙালি সমাজ।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]