স্বামীর নির্যাতনে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সীমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী ও জায়ের মধ্যে পরকীয়া নিয়ে কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছেন স্বামী ও পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ডোয়াইল ইউপির ডোয়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মুদি দোকানদার জুয়েল রানার স্ত্রী। তার ৪ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম চলছিল রানা ও তার ভাবী রেখা বেগমের মধ্যে। এ নিয়ে তিন বছর আগে জুয়েল ও তার প্রথম স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর চর বালিয়া গ্রামের সুরুজ ভুঁইয়ার মেয়ে সীমা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন রানা। এ বিয়ের পরও ভাবীর সঙ্গে জুয়েলের পরকীয়া চলতে থাকে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল।
এর জেরেই সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন সীমাকে মারধর করেন। পরে তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দামাচাপা দিতে হাসপাতাল থেকে লাশ আনার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে। পথে কেন্দুয়া বাজার এলাকায় সীমার পরিবার লাশ দেখতে চাইলে আপত্তি জানান রাানা। পরে পুলিশ গিয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, স্বামী ও তার পরিবারের লোকদের নির্যাতনে গৃহবধূ সীমার মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পালাতক থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।