8135

04/20/2024 ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সমালোচনা হয়েছে, চিকিৎসা নিয়ে নয়’

‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সমালোচনা হয়েছে, চিকিৎসা নিয়ে নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ নভেম্বর ২০২২ ০০:২০

দেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা হলেও চিকিৎসা নিয়ে কোনো সমালোচনা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা থাকলেও চিকিৎসা নিয়ে কেউ সমালোচনা করেনি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়, আর নিয়ন্ত্রণের কাজটি করে অন্যান্য মন্ত্রণালয়।

রোববার (১৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু’তে আয়োজিত ডেঙ্গুর নতুন গাইডলাইন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, আমার সময়ে প্রথমে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু পেয়েছিলাম। সেবার সবাই মিলেমিশে সুন্দরভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলা করেছি। তখনও অনেক সমালোচনা হয়েছে। তখনও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা থাকলেও চিকিৎসা নিয়ে কোনো সমালোচনা ছিল না। এরপর করোনাভাইরাস আসল, তখন একটি ট্রিটমেন্ট প্রটোকল করে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। সারাদেশেই এটিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ট্রিটমেন্ট প্রটোকল ভালো ভূমিকা রেখেছে। আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না, অক্সিজেন প্ল্যান্ট ছিল না ও একটি মাত্র ল্যাব ছিল। বিনামূল্যে আমরা রেমডিসিভির দিয়েছিলাম। অর্থাৎ বিশ্বে যখন যে ব্যবস্থা প্রয়োগ হয়েছে, আমরা সেটিও করেছি এবং সর্বোপরি সফল হয়েছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় আমাদের ২৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন, ভারতে মারা গেছেন ৫ লাখ, আমেরিকায় ১২ লাখ। ইউরোপে প্রতি দশ লাখে প্রায় তিন হাজার লোক মারা গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গাইডলাইন দিয়েছেন বলেই আমরা সফল হয়েছি। করোনার টিকার ব্যাপারেও আমরা সফল হয়েছি। আমরা ৪০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের টিকা বিনামূল্যে দিয়েছি। টিকা নিয়ে পৃথিবীর কম দেশই এতো টাকা খরচ করেছে। এছাড়া সফলতার সঙ্গে ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল করেছি, কেউ পিছপা হইনি। কিন্তু শুরুতে আমরা চিকিৎসাপদ্ধতি ভালোভাবে জানতাম না, তবুও চিকিৎসা দিয়ে করোনা মোকাবিলা করেছি।

তিনি বলেন, এখন আবার ডেঙ্গু দেখা দিয়েছে। যারা কাজকর্ম করে, তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন, মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছেন। ২০-৩০ বছরের মধ্যে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অনেকে তিনদিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন। হাসপাতালে দেরিতে যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা একটু বেশি। তবে সময়ের প্রয়োজনে আগের গাইডলাইনটি নতুন করে সাজানো হয়েছে। নতুন গাইডলাইনে আশা করি ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে। সে বিষয়ে সব ডাক্তার-নার্স ও টেকনিশিয়ানরা কাজ করছেন।

জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার ধাক্কা ও যুদ্ধ সবমিলিয়ে আমরা বড় একটি ধাক্কা খেয়েছি। এখন আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। শুধু যে আমাদের দেশেই ডেঙ্গু হচ্ছে তা নয়, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই দেখা দিয়েছে। আমাদের থেকে তাদের বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, চিকিৎসার মান বৃদ্ধি করতে সারাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমরা চাই ডাক্তারদের উপস্থিতি ও যন্ত্রপাতিগুলো যেন সচল থাকে। অনেক সময় আলট্রা-ইকো মেশিনগুলো নষ্ট থাকে, যে কারণে রোগীরা চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে চলে যায়। যে সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলোতে মেশিন নেই, আমাদের জানালে আমরা দিয়ে দেবো। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলো সবসময় পরিষ্কার রাখবেন ও রিপোর্টিংটা সবসময় চালু রাখবেন।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]