9728

05/11/2025 কাকে রেখে কার বিচার করব?

কাকে রেখে কার বিচার করব?

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ জানুয়ারী ২০২৩ ০৮:২৬

৭৫-এর পর ইতিহাস বিকৃতিতে কেউ পিছিয়ে ছিলেন না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাকে রেখে কার বিচার করব? যারা ইতিহাস বিকৃতি করেছে ইতিহাসই তাদের বিচার করে দিয়েছে। তাদের চরিত্রটা মানুষের কাছে প্রকাশ পেয়েছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর পর স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। জাতির পিতাকে হত্যাকারী ও ক্ষমতা দখলকারীরা এই বিকৃতি শুরু করে। ধারাবাহিকভাবে তা ২১ বছর চলতে থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষকে সেই বিকৃত ইতিহাস থেকে মুক্তি দেয়। আজকে বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেবল উদ্ভাসিত নয়, দেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্ম এই ইতিহাস জানান সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এখন বিকৃত করার সুযোগ নেই। কেউ তা করতেও পারবে না। এটা সম্ভবও নয়।

তিনি বলেন, ইতিহাস যারা বিকৃতি করেছে, আমি যদি ঠিক ৯৬ এর আগে যাই, তাহলে কাকে রেখে কার বিচার করব? এটা হলো বাস্তবতা। আমি দেখি ৭৫-এর পর যারাই ছিলেন, এমনকি যারা সত্য কথাটাও জানতেন তারাও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। এটা হচ্ছে দুর্ভাগ্য। রেডিও টেলিভিশন পত্রিকা- পুরনো দিকটায় তাকালে কেউই বাদ যায়নি। খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষ এর প্রতিবাদ করেছেন বা সঠিক ইতিহাসের ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। এদের বিচার করতে গেলে তো কাকে রেখে কার বিচার করব সেটা একটা প্রশ্ন। আমি পরিষ্কার কথা বলি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমার যেটা কাজ সেটা হলো মানুষের কাছে সত্য ইতিহাসকে তুলে ধরা। ইতিহাস আজকে মানুষের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। মানুষ তার চর্চা করছে। আজকের যুব সমাজ ইতিহাস জানতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী, এটাই বড় বিচার। যারা সত্যটা মিথ্যা দিয়ে ঢাকতে চেয়েছিল তারাই আজকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। সত্য অনেক কঠিন। তবে এর জয় অবশ্যম্ভাবী। বিচার প্রাকৃতিকভাবেই তাদের হচ্ছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]