9946

05/04/2024 আজানের সময় কথা বললে ৪০ বছরের আমল নষ্ট হয়?

আজানের সময় কথা বললে ৪০ বছরের আমল নষ্ট হয়?

ধর্ম ডেস্ক

৩১ জানুয়ারী ২০২৩ ২৩:৫২

আজান শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, ডাকা, আহ্বান করা। আজান দ্বারা উদ্দেশ হলো, বিশেষ কিছু শব্দের মাধ্যমে নামাজের সময় সম্পর্কে জানানো। আজানের মাধ্যমেই মুসলমানরা বুঝতে পারেন যে নামাজের সময় হয়েছে।

নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। এছাড়াও তা ইসলামের অন্যতম নিদর্শন বহন করে। আজান শোনা ও আজানের জবাব দেওয়া স্বতন্ত্র্য ইবাদতও বটে।

আজান শোনা ও আজানের উত্তর দেওয়া সুন্নত। যারা আজান শুনবেন, তারা মৌখিকভাবে জবাব দেবেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, তখন জবাবে মুয়াজ্জিনের মতো তোমরাও তা বলবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৬১১)

আজান নিয়ে সমাজে প্রচলিত একটি ভুল ধারণা হলো, আজানের সময় কথা বলা বলা যায় না, এ সময় কথা বলা হারাম। আলেমরা বলেন, কথাটি ঠিক নয়। তবে আজানের সময় কথা না বলা উচিত। বরং তিলাওয়াত, জিকির ও ধর্মীয় কথাবার্তা বন্ধ করে আজানের জবাব দেয়া উচিত। তবে যদি তা বন্ধ না করে তথা আজানের জবাব না দেয় তাতে গুনাহ হবে না।

এর পাশাপাশি অনেকে মনে করেন, আজানের সময় কথা বললে ৪০ বছরের আমল নষ্ট হবে, বা ঈমান চলে যাবে, কিন্তু এমনটা ভাবাও ঠিক নয়। যে হাদীসের ভিত্তিতে তা বলা হয় সেটি হাদীস নয় বলে মুহাদ্দিসীনে কেরাম মত দিয়েছেন।

আল্লামা সাগানী রহ. এমন কথা জাল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। (আল মাওজুআতুস সাগানী, হাদীস নং-১৪৫, রিসালাতুস মাওযুআত- ১২, কাশফুল খাফা, ২৪৩৯)

এমনিভাবে আজানের সময় কথা বললে ৪০ বছরের নেকী নষ্ট হয়ে যায় একথাটিও রাসুল সাঃ এর হাদীস নয়। (যাইলুল মাকাসিদিল হাসানা)

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]