বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি
প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৮
আপডেট:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৫২

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনে আহ্বায়ক সাইদুর রহমান সরকার,সদস্য সচিব রেজাউল করিম লিটন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের সিংহভাগ প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা দ্বারা।কিন্তু দুঃখের বিষয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা মাত্র ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাস, একই অ্যাকাডেমিক সময়সূচি একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নে নিয়োজিত থেকে আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড় সমান বৈষম্য।
তারা আরও বলেন, শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরির নিরাপত্তা নেই, আর্থিক নিশ্চয়তা নেই, সামাজিক মর্যাদা নেই, অবসর ও কল্যাণের নিশ্চয়তা নেই। শিক্ষকদের গুণগত মান উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করণের বিকল্প নেই। জাতীয় করণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে অবিলম্বে শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা দিতে হবে। হাইকোর্টের রায় অনুসারে অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যাণের টাকা প্রদান নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে যে-সব দাবি উপস্থাপন করা হয় সেগুলো হলো-
১ . সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে।
২ . সরকারি নিয়মে পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা প্রদান করা।
৩ . সরকারি স্কুলের ন্যায় বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭ম গ্রেডসহ টাইমস্কেল দেওয়া।
৪ . কল্যাণ ও অবসর সুবিধার টাকা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী অবসরের ৬ মাসের মধ্যে পাওয়া নিশ্চিত করা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: