ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতাল থেকে নবজাতক গায়েব, ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত:
২৬ এপ্রিল ২০২৩ ০১:১৭
আপডেট:
৯ মে ২০২৫ ০৬:২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে নবজাতক গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
প্রসূতির স্বামী জেলার নবীনগর উপজেলার আলেয়াবাদ গ্রামের ফয়হাদ আহমেদ বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক ডা. ডিউক চৌধুরী, গাইনি ও সার্জন ডা. নওরিন পারভেজ, ডা. ইসরাত আহমেদ, হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর মার্শাল চৌধুরী, নার্স স্নেহলতা ও অপারেশন টিম সদস্য অথৈ মন্ডলকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, নবীনগরের আলেয়াবাদের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী মোছা. লিজা প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সেসময় আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে তার স্ত্রীর গর্ভে দুটি সন্তান দেখা যায় বলে জানান চিকিৎসকরা। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল করা আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টেও গর্ভে দুটি সন্তান আসে।
গত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) লিজার প্রসবব্যথা উঠে। গর্ভে যমজ শিশু থাকায় স্থানীয় চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোনো হাসপাতালে সিজার করাতে পরামর্শ দেন। সেদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডা. নওরিন পারভেজ আবারও আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন।
উনার করা রিপোর্টেও দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে একই দিন তিনি নিজে লিজাকে সিজার করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান, লিজা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তার গর্ভে একটি সন্তানই ছিল। এরপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে।
এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নবজাতক চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: