শনিবার, ১০ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


রাজবাড়ীতে লাইভ ওজনে গরু বিক্রি, খুশি ক্রেতারা


প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০২৩ ১৬:৫৬

আপডেট:
১০ মে ২০২৫ ০২:৪২

 ফাইল ছবি

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হাটে, বাজারে, খামারে ও অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে।

তবে এবারও কোরবানির গরু কিনতে হাটের ভিড় এড়াতে চাইছেন অনেকে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের গড়ে তোলা হয়েছে পদ্মা এগ্রো ফার্ম নামে একটি গরুর খামার। এখানে ২শ কেজি থেকে শুরু করে ৬শ কেজি ওজনের অর্ধশত ষাঁড় গরু রয়েছে।

পদ্মা এগ্রো ফার্ম গত বছর থেকে প্রথম 'লাইভ ওয়েট পদ্ধতিতে' ক্রেতাদের কাছে গরু বিক্রি শুরু করে। গত বছর শতভাগ সফলতার পর এবারও তারা ওই পদ্ধতিতে গরু বিক্রি করছে।

এখনো কোরবানির ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও ইতোমধ্যে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। এভাবে লাইভ ওয়েটে গরু ৫২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন এই খামারি।

একটি সাধারণ গরুর লাইভ ওয়েটের ৬০ শতাংশ মাংস পাওয়া যায় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া হাড়, ভুড়ি, মাথার মাংস, যকৃৎ, ফুসফুসহ বাড়তি আরও অংশ পাওয়া যায়।

খামারি এবং ক্রেতা উভয়ই বলছেন, ওজন পদ্ধতিতে কেজি দরে পশু ক্রয় করলে ঠকার সম্ভাবনা কম। বিশেষ করে ব্যাপারী ও খামারিরা ওজন ছাড়া যখন গরু ক্রয়-বিক্রয় করতেন তখন গরুর ওজন কত? কী পরিমাণ মাংস হবে? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন উঠত এবং এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি চলত।
একপর্যায়ে হয়তো পশু বিক্রি হতো না। কিন্তু এখন সে সময় নেই। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পশু মাপার ওজন এসেছে। এখন ব্যাপারীরা ও ক্রেতারা লাইভ ওয়েটে ছোট-বড় গরু মেপে কিনে নিতে পারবেন। এতে ঠকার সম্ভাবনাও থাকে না।

গরু কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, হাটে গরু কিনতে গেলে দালালসহ নানান রকমের মধ্যসত্বভোগীদের ঝামেলায় পড়তে হয়। এ কারণে তারা নিরিবিলি পরিবেশে পছন্দমত গরুর সন্ধানে এই ফার্মে এসেছেন।

ফার্মে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, এ ফার্মে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে দেশীয় খাবারের মাধ্যমে গরু লালন পালন করা হয়। এখানে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয় না।

বালিয়াকান্দি থেকে গরু কিনতে আসা ক্রেতা সোহেল রানা বলেন, গৌরিপুর একটি ফার্মে লাইভ ওজনে গরু বিক্রি হয় শুনে কোরবানির জন্য একটি গরু দেখতে ও কিনতে এসেছি। এ ফার্মের সবগুলো গরুই অনেক মোটাতাজা ও সুন্দর। আমার একটি গরু পছন্দ হয়েছে, এটি কিনে নেব। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে হাট থেকে গরু কিনতে গেলে অনেক ঝামেলা ও ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাছাড়া দালালরাও ঠকায়। এজন্য সরাসরি এসে ওজন দিয়ে কোরবানির গরু কিনতে পেরে অনেক খুশি লাগছে।

পদ্মা এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন তালুকদার সুজন বলেন, গত বছরই আমরা প্রথম বডি ওয়েটে গরু বিক্রি শুরু করি এবং ফার্মের সব গরুই এ পদ্ধতিতে বিক্রি হয়ে যায়। গত বছর আমরা ৪২৫ টাকা কেজি দরে গরু বিক্রি করেছিলাম, তবে এবার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। আশা করি কোরবানির আগেই ফার্মের সব গরু বিক্রি সম্পন্ন হয়ে যাবে।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার বলেন, ‘ওজন দরে গরু বিক্রির ধারণাটি নতুন হলেও এটি বেশ চমৎকার ও গরু কেনার একটি ঝামেলাবিহীন পদ্ধতি। ক্রেতাদের সুবিধার্থে লাইভ ওয়েটে অনেকেই বিক্রি করছে।

তবে এই পদ্ধতিতে যদি ক্রেতারা সন্তুষ্ট না থাকেন সরাসরি দেখেও কিনতে পারেন।এ পদ্ধতিতে ক্রেতাদের ঠকার সুযোগ থাকছে না। সাধারণত ১০০ কেজি ওজনের একটি গরু থেকে ৬০ কেজি মাংস পাওয়া যায়। বাকিটা নাড়িভুঁড়ি। তাই এটা মাথায় রেখেই মাপটা করতে হয়।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top