শুক্রবার, ১৩ই জুন ২০২৫, ৩০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


মেঘনা থেকে ধরা ২১ কেজি ওজনের সেই কোরাল মাছটি জব্দ করেছে কোস্টগার্ড


প্রকাশিত:
১২ জুন ২০২৫ ১১:১১

আপডেট:
১৩ জুন ২০২৫ ২০:০৫

ছবি সংগৃহীত

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদী থেকে জেলেরা ২১ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ শিকার করেছিল। মাছটি জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। পরবর্তীতে মাছটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) দুপুরে মাছটির বিক্রেতা ইব্রাহিম মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. ইব্রাহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মো. ইব্রাহিম বলেন, নিঝুমদ্বীপের জেলে জামশেদ মাঝি আমার আড়তে ২১ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ নিয়ে আসেন। নিলামের মাধ্যমে এক হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে আলতাফ বেপারি নামে একজন ২৯ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন। মাছটির সঙ্গে আরও কিছু মাছসহ যাত্রীবাহী একটি ট্রলারে মাছগুলো চেয়ারম্যান ঘাটের উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছিলাম। তমরুদ্দি ঘাটে বিরতির সময় কোস্টগার্ড মাছগুলো জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ করে। নদীর মাছ যদি এভাবে জব্দ করে তাহলে আমাদেরসহ জেলেদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। সাগরে অভিযান আছে কিন্তু নদীতে তো নেই। মাছটি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে কিন্তু তারপরেও মাছটি তারা বিতরণ করে দিয়েছে।

জানা যায়, গত ৯ জুন সকালে হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারে ২১ কেজি ওজনের কোরাল মাছটি বিক্রি হয়। সেদিন বিকেলে কোস্টগার্ড মাছটিসহ প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ জব্দ করে। তারপর মাছগুলো অসহায় ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

নিঝুমদ্বীপের বাসিন্দা মো. রাসেল বলেন, ২১ কেজি ওজনের কোরাল মাছ পাওয়ার খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। মেসার্স জনতা মৎস্য আড়ত মাছটি ক্রয় করে তমরুদ্দিন ঘাট হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মাছটি জব্দ করে কোস্টগার্ড। জেলেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী থেকে মাছ শিকার করেন। এরপর বৈধভাবে নিলামে বিক্রি হয়। নদী থেকে শিকার করা মাছ জব্দের কারণ জানতে চাই। কোস্টগার্ডের এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাই। এমন কাণ্ডের জবাব চাই আমরা।

কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাব্বির রহমান বলেন, কোরাল মাছটির বিষয়ে জানতে পেরেছি। আমরা কেবল মাছ জব্দ করেছি। সেখানে সামুদ্রিক মাছ আছে বলে মৎস্য কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন এবং তার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মাছগুলো বিতরণ করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, আমি সেদিন ছুটিতে ছিলাম। আমার প্রতিনিধি সেখানে প্রেরণ করা হয়েছিল। জব্দ করা অন্যান্য মাছগুলোর মধ্যে সামুদ্রিক মাছও ছিল। আমাদের মেঘনার মোহনায় সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। সেসব মাছ ধরতে সমুদ্রে যেতে হয় না। আমরা বিষয়টি কোস্টগার্ডকে বলেছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top