স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, পাশেই কাঁদছিল ৮ মাসের শিশুটি
প্রকাশিত:
১২ জুন ২০২৫ ১৪:২৯
আপডেট:
১৩ জুন ২০২৫ ১৬:৪০

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মোতালেব হোসেন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১১ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের এরান্দহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মোতালেব হোসেনের স্ত্রী রোজিনা খাতুন (২৫)। তিনি একই গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে রোজিনা ও মোতালেবের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এরান্দহ গ্রামের শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন মোতালেব। এই দম্পতির পরিবারে ৮ মাসের একটি শিশু রয়েছে। এরই মধ্যে গত ৬ দিন আগে ফেনী থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষ করে মোতালেব শ্বশুরবাড়িতে আসেন। সবশেষ গত বুধবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে মোতালেব ও রোজিনার মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে রাত আড়াইটার দিকে তাদের শিশু বায়েজিদের কান্নার আওয়াজ পেয়ে দেখতে আসেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা দেখেন; গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছে রোজিনার মরদেহ। পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন মোতালেব।
নিহত রোজিনার চাচাতো ভাই জাহিদ হাসান বলেন, বায়েজিদের কান্নার আওয়াজ শুনে আমরা ছুটে যায়। জানালা দিয়ে দেখি সেখানে রোজিনা ও মোতালেব রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। পরে মোতালেবকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে রোজিনার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশ পাহারায় অভিযুক্ত মোতালেবের চিকিৎসা চলছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: