একেক জায়গায় একেক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ, যুবক আটক
প্রকাশিত:
৩১ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৮
আপডেট:
১ আগস্ট ২০২৫ ১৪:৫৩

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সেনাবাহিনীর মেজর ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মো. সোহেল হাওলাদার (২৭) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে উপজেলার বকসীর ঘটিচোরা গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই যুবককে আটক করে।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক সোহেল হাওলাদার পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাদেরপুর গ্রামের আব্দুল বারেক হাওলাদার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবক সোহেল হাওলাদার গত ৫ মাস আগে মঠবাড়িয়ার গুলিশাখালী গ্রামের মৃত সেলিম হাওলাদারের মেয়ে ফারজানা আক্তারকে (২৩) সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয়ে বিয়ে করেন। তিনি সেনাবাহিনীর লোগো লাগানো একটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এলাকায় সেনাবাহিনীর মেজর আবার কখনও কখনও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) অফিসার পরিচয় দিয়ে শ্বশুর বাড়িতে চলাফেরা করতেন। এ ছাড়া প্রতারক ওই যুবক একই পরিচয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলার বকশীর ঘটিচোরা গ্রামে দ্বিতীয় আরেকটি বিয়ে করেন।
প্রতারক সোহেল নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে সম্প্রতি উপজেলার সবুজ নগর গ্রামের গৃহবধূ হাসি রানী দাসের স্বামী হৃদয় দাসকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই গৃহবধূ চাকরির আশায় প্রথমে ১৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু প্রতারক সোহেল টালবাহানা শুরু করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। তা ছাড়া আরও ছয়-সাতজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর এলাকায় গুঞ্জন ওঠে ওই যুবক সেনা কর্মকর্তার পরিচয়টি ভুয়া। ওই পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারণার শিকার গৃহবধূ হাসি রানী দাস বিষয়টি থানায় অভিযোগ করেলে পুলিশ তদন্ত করে প্রতারক যুবক সোহেলকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি হাসি রানী মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অথবা ডিজিএফআইয়ের সদস্য নয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি গৃহবধূ মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: