বুধবার, ৬ই আগস্ট ২০২৫, ২১শে শ্রাবণ ১৪৩২


শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বৈরাচার রেখে গেছে: আমির খসরু


প্রকাশিত:
৫ আগস্ট ২০২৫ ২২:০৩

আপডেট:
৬ আগস্ট ২০২৫ ০০:২৫

ছবি সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা চলে গেছে; কিন্তু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বৈরাচার রেখে গেছে আমাদের মাঝে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফ্যাসিস্ট রেখে গেছে। আচার-আচরণে দেখবেন- ‘এটা হতে হবে, এটা দিতে হবে, এটা না দিলে আমরা নাই’। আমি তো মালিক হই নাই এ দেশের; মালিক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এই গণতান্ত্রিক মন-মানসিকতায় আপনাকে আসতে হবে। নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হচ্ছে কারেকশন প্রসেস, আপনি ভুল করলে যা আপনাকে সংশোধন করবে; প্রতিবাদ করবেন গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভাসুর উপাচার্য মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ, সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দিন, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম এবং পরিচালক (পিআরটিসি) প্রফেসর ড. এ কে এম হুমায়ুন কবির।

যারা মব সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, তাদের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখছেন মন্তব্য করে আমির খসরু বলেন, মব কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমি বলছি- এটাই হতে হবে যারা বলবে, আচরণ করবে; শেখ হাসিনার সঙ্গে তাদের কোনো ব্যবধান নেই। আমরা বাংলাদেশের জনগণের মালিকানার জন্য যুদ্ধ করেছি এত বছর, প্রাণ দিয়েছি, জেল খেটেছি, ত্যাগ স্বীকার করেছি- বাংলাদেশের লাখ কোটি মানুষ। আবার যদি শেখ হাসিনার মন-মানসিকতায় চলে যাই, সেটা গণতান্ত্রিক মানসিকতা হবে না।

তিনি আরও বলেন, আপনাকে আস্থা রাখতে হবে বাংলাদেশের মালিক যারা জনগণ, তাদের ওপর। যত পরিবর্তন, যত সংস্কার, যত আগামী দিনের রূপরেখা- এটাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে আসতে হবে। জনগণের কাছে আপনাকে যেতে হবে, যেটা শেখ হাসিনা বন্ধ করে দিয়েছিল। এই পথটা উন্মুক্ত করে দিতে হবে। যারা যা করতে চাইবে, জনগণের কাছে যেতে হবে। বলতে হবে, ‘আমরা এই কাজগুলো করতে চাই নতুন বাংলাদেশের জন্য’। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আপনি আগামী দিনের পরিবর্তন আনবেন। আপনার নিজের ম্যান্ডেট না।

আমির খসরু মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের মানুষের মনে যে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা জেগেছে- এটা যদি আমরা ধারণ করতে না পারি, সবকিছু বৃথা যাবে। কোনো রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দল যদি এটা ধারণ করতে না পারে, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ নেই।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে কারণে ফ্যাসিস্ট হয়েছে- গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে এককভাবে যা করতে চেয়েছে; আমাদেরকে গণতন্ত্র পরিপূর্ণভাবে পুনর্প্রবর্তন করতে হবে। আধা গণতন্ত্র না, থ্রি কোয়ার্টার গণতন্ত্র না। এবং সেই গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য আমাদেরও মন-মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন আছে। এজন্য আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন প্রত্যয়- বিল্ড দ্য ন্যাশন। এই ত্যাগের প্রতি যদি সম্মান জানাতে চাই, তাহলে যার যার জায়গা থেকে দেশ গড়ার কাজ করতে হবে। রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ন করতে হবে। দেশের প্রত্যেক মানুষের অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করতে সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত সিভাসুর ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাত বিন জাহাঙ্গীরও বক্তব্য রাখেন।

সিভাসুর আলোচনা সভা শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত ‘সাংবাদিক ছাত্র-জনতার সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top