স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে হামলার পর শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি
প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৩৪
আপডেট:
১৬ আগস্ট ২০২৫ ২০:১৩

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারা দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়কারী মহিউদ্দীন রনি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহ সিন্ডিকেটকে আমাদের ভাঙতে হবে। দালালমুক্ত, সিন্ডিকেটমুক্ত স্বাস্থ্যখাতের সুদিন ফিরে আসা না পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। এ আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষক, ছাত্র, শ্রমিক, অভিভাবক ও শ্রমজীবী মানুষসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষই সম্পৃক্ত রয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ওপর যে হামলা হয়েছে তা সারা দেশের মানুষ অবগত আছেন। আমরা আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। যে সিন্ডিকেট গুষ্টির বিরুদ্ধে আমরা নেমেছি, সেই দালাল চক্র আমাদের স্কুল শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, তারা আমাদের ওপর হামলা করার পরে রাতের বেলা পরিচালকসহ সব স্টাফ ও দালালদের নিয়ে বুনো উল্লাস করেছে। খিচুড়ি পার্টির আয়োজন করেছে। আপনারা জানেন, গতকাল ছিল ১৫ আগস্ট। তারা ১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে আগের দিন রাতেই কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করেছে। পরের দিন ১৫ আগস্ট দুপুর বেলায় তেহারি পার্টি করেছে।
মহিউদ্দিন রনি বলেন, স্বাস্থ্যের ডিজি বরিশালে আসার পর উনি যে উসকানি দিয়েছেন তার নির্দেশেই পরিচালকের সংশ্লিষ্টতায় এই হামলাটি ঘটিয়েছে। আমরা এই ন্যাক্কারজনক হামলার পূর্ণ বিচার চাচ্ছি রাষ্ট্রের কাছে। আমাদের ভাই-বোনদের ওপর এবং আমাদের মায়ের ওপর যে হামলা হয়েছে আমরা তার পূর্ণ বিচার চাচ্ছি। আমরা প্রত্যেকের কাছে বলতে চাই, আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমাদেরকে যত মারবেন আমরা তত সংগঠিত হব। ২৪-এর আন্দোলনে আমরা তার প্রমাণ দিয়েছি। আমাদের এই আন্দোলন স্থগিত করিনি। দালালমুক্ত সিন্ডিকেটমুক্ত স্বাস্থ্যখাতের সুদিন ফিরে আসা না পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
নতুন কর্মসূচি হিসেবে রোববার বেলা ১১টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে বলে জানান রনি।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের দাবিতে ২০ দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। তবে আন্দোলন থেকে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের কিছু শিক্ষার্থী বেড়িয়ে গেছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরিশালে পরিদর্শনে আসার পরদিন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলা চালায় কর্মচারীরা। এমনকি হামলার পর তারা থানায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: