নিজ হাসপাতালে বিএমএর নাটোর সভাপতি ডা. আমিরুল খুন
প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৬
আপডেট:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৪৭

নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ে নিজের গড়া জনসেবা হাসপাতালের শয়ন কক্ষে খুন হয়েছেন নাটোর জেলা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও ড্যাবের আহবায়ক এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আমিরুল ইসলাম (৬৬)।
সোমবার (সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ হাসপাতালের তৃতীয় তলার শয়ন কক্ষ থেকে ডা. আমিরুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডা. আমিরুল ইসলাম জেলার সিংড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার হাসান আলীর ছেলে। একমাত্র চিকিৎসক কন্যার পিতা ডা. আমিরুল ইসলাম একাই নাটোর শহরের এই হাসপাতালে বসবাস করতেন। তার স্ত্রী ঢাকায় মেয়ের সঙ্গে বসবাস করেন। ডা. আমিরুল ইসলামও মাঝে মধ্যে ঢাকায় যাতায়াত করতেন।
ডা. আমিরুল ইসলামের ভাই ও তার জনসেবা হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ডা. আমিরুল ইসলাম জনসেবা হাসপাতালে রোগী দেখেন। পরে ওয়ার্ডের রোগীদের খোঁজখবর নিতে ওয়ার্ডেও যান তিনি। সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নাটোর জেলা বিএনপির জনসমাবেশে তার যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এজন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তিনি হাসপাতালের কর্মচারীদের সকাল ১০টার মধ্যে তাকে ঘুম থেকে ডেকে দিতে বলেন।
তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে বারবার তাকে ডাকা হলেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে বেলা ১১টার দিকে তার ভাইসহ অন্যরা কক্ষের দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে বিছানায় তার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরবর্তীতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
তাদের ধারণা, আগে থেকেই কেউ তার কক্ষে গোপনে অবস্থান নিয়ে রাতেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে শয়ন কক্ষ আটকে দিয়ে চলে গেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এ বিষয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেছে। নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ইতোমধ্যে সিআইডি ও পিবিআই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণে মনে হচ্ছে তিনি (ডা. আমিরুল ইসলাম) এই রুমেই ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে তিনি কোনো ধরনের নৃশংসতার শিকার হয়েছেন। তার শরীরে ধারালো ছুরির আঘাত রয়েছে এবং একটি অঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো বিবেচনা করে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: