বাগেরহাটে হরতালে দূরপাল্লার বাসসহ সব পরিবহন বন্ধ
প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৪৪
আপডেট:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:১০

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসন বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো হরতাল চলছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, বেঞ্চ পেতে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করছেন হরতালের সমর্থনকারীরা। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির দাবি, জেলার বিভিন্ন সড়কের অন্তত ১৩৪টি স্থানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা। যার ফলে বাগেরহাট জেলা কার্যত অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এদিকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, ফতেপুর বাজার, সিএনবি বাজারসহ বিভিন্নস্থানে পন্যবাহী ট্রাকের সারি দেখা গেছে। এর ফলে ব্যবসায়ী ও চালকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অন্যদিকে হরতালের সমর্থন করে বাগেরহাট জেলাজুড়ে দোকানপাট খোলেননি ব্যবসায়ীরা। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এদিকে বুধবার সকালে শুরু হওয়া হরতালের সমর্থনে রাতেও সড়কে আগুন জালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে হরতালের সমর্থনকারীরা। যার ফলে রাতেও কোনো প্রকার গাড়ি চলাচল করেনি সড়ক থেকে।
গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসনবিন্যাস গণ মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চুড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: