‘পরীমনি জাস্টিস পাবেন, আবারও সিনেমায় ফিরবেন’
 প্রকাশিত: 
 ২৫ আগস্ট ২০২১ ১৯:০১
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:২৮
                                মাদককাণ্ডে গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমনির সহকর্মী চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ। পরীমনি গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে নিয়ে সিয়ামকে জড়িয়ে বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলো নিয়ে বিরক্ত এই চিত্রনায়ক।
সিয়াম পরীমনির ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। সেই সঙ্গে সহ-অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত কিছু গুনে মুগ্ধ। 
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলাপকাপে সিয়াম গণমাধ্যমকে বলেছেন, কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন পরীমনির সঙ্গে আমাকে নিয়ে মিথ্যা খবর প্রকাশ করে। তারা এক ধরনের শিরোনাম দিয়ে ভেতরে আরেক ধরনের খবর লিখে। শিরোনাম দেখেই অনেকেই ধরে নেন, অনেক বড় কিছু হয়েছে। এটা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করেছে। কিছু মানুষের কারণে আমার পরিবার কষ্ট পেয়েছে, মর্মাহত হয়েছে।
মিথ্যা রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিয়াম বলেন, ‘আমার ব্যবস্থা আমি নেব। জানিয়ে নেব না। যারা অপরাধী, তারা জেনে যাবেন। ‘
পরীমনির গ্রেফতার ও তাকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রসঙ্গে সিয়াম বলেন, দেশের আইনি ব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। এমন কিছু হয়নি যে আমাদের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা অপেক্ষা করছি। তিনি প্রপার জাস্টিস পাবেন।
পরীমনি আবারও কাজে ফিরবেন এমন আশা করে সিয়াম বলেন, আশা করি, তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বের হবেন। আবারও নিয়মিত কাজে ফিরবেন।
পরীমনির মানবিক গুণাবলী সামনে এনে সিয়াম বলেন, তিনি মানুষের জন্য অনেক করেছেন। তিনি অনেক অনাহারীকে খাইয়েছেন। সংসার চলে না, এমন অনেককে সহযোগিতা করেছেন। এগুলো একজন ভালো মানুষের লক্ষণ। আমি চোখের সামনে অন্যের জন্য পরীমনিকে কিছু করতে দেখেছি। ক্ষমতা তো অনেকেরই থাকে, কতজন করেন।
গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৪ আগস্ট বাদীসহ র্যাব ১-এর সদস্যরা গুলশান-১ গোলচত্বরে অবস্থান করছিলেন। বিকাল ৪টা ৫ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, বনানীর একটি বাসায় পরীমনি তার সহযোগী আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে মজুত করে রেখেছেন। তারা বাসায় অবস্থান করছেন। পরে বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান চালানো হয়। পরীমনির বাসা থেকে নারী র্যাব সদস্যের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। বাসার একটি কক্ষে কাঠের ফ্রেমের ভেতর থেকে বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, পরীমনির বাসা থেকে একটি সাদা জিপারে রাখা চার গ্রাম আইস বা ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা হয়। আরও জব্দ করা হয় এক ব্লট ভয়ঙ্কর এলএসডি মাদক। পরীমনির বাসা থেকে জব্দ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকের মোট দাম দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা।
৪ আগস্ট বিকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন পরীমনি। এ সময় র্যাবের পক্ষ থেকে পরীমনিকে তার বাসায় অভিযানের কথা জানানো হয়। কিন্তু তিনি লাইভে এসে মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার চালানো শুরু করেন।
লাইভে পরীমনি বলেন, আমি ঘুমাইতেছিলাম। বাসার নিচে মেইনগেটে সব ভাঙচুর করে তারা ওপরে চলে আসছে। এখন বাসার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করছে। বারবার কলিংবেল বাজাচ্ছে। পুলিশসহ কেউ শুনছে না, আমি সবাইকে ফোন করলাম, কেউ আসছে না।
মরে গেলে আসবেন ভাই? তিনি আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছে এরা ডাকাত। একেক জনের একেক রকমের চেহারা। এরা যদি ডাকাত হয় কী করবেন? আমি এটার ভয় করছিলাম। আমি আজ লাইভ কাটব না।
এখানে থানা থেকে আসতে কতক্ষণ লাগে? মানুষ কি মরে যাবে? তারা নাকি কেউ জানে না, কোন থানা থেকে আসছে, সিআইডি না র্যাব কেউ কিছু বলতে পারছে না।
পরীমনি সবার উদ্দেশে আরও বলেন, আমি বুঝতেছি না আমি মরে গেলে আসবেন? আমি তো হার্টআট্যাক করব। ব্রেনস্ট্রোক করে মরে যাব। এটা একদম টর্চার। লাইভে থেকে আলোচিত এই চিত্রনায়িকা কারও একজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
তখন তাকে বলতে শোনা যায়, আমি মরে যাব। আর পৃথিবী দেখব না! আমি লাইভ কাটব না। আমি দেখিয়ে মরব। আমার সঙ্গে কেউ কিছু করে পার পাবে না। আর মেরে ফেললে তো কোনো কিছু করার নেই।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: