কাতারের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি করার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:২০
আপডেট:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:২৩

কাতারের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মার্কো রুবিও। মঙ্গলবার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার ইসরায়েল সফরে গিয়েছেন রুবিও। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ মঙ্গলবার কাতারের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। রওনা হওয়ার আগে এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে রুবিও বলেন, “কাতারের সঙ্গে আমাদের নিবিড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। আর এই যুদ্ধে (হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ) বিশ্বের কোনো দেশ যদি মধ্যস্থতা করতে পারে, তাহলে একমাত্র কাতার তা পারবে।”
“এ কারণেই আমরা কাতারের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি করতে যাচ্ছি। চুক্তির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।”
মার্কো রুবিও যদিও প্রকাশ্যে বলেননি, তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে কাতারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার জেরেই দেশটির সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি করছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশে ২০১২ সাল থেকে কাতারে বসবাস করছেন হামাসের শীর্ষ নেতারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী ৩ দেশের মধ্যে কাতার অন্যতম। বাকি দুই দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর।
২০২৫ সালের ৩১ জুলাই ইরানে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নির্বাহী ইসমাইল হানিয়া। একই বছর ১৬ অক্টোবর গাজায় নিহত হন তার উত্তরসূরী ইয়াহিয়া সিনওয়ার। হানিয়া ও সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর হামাসের শীর্ষ নেতার পদে আসেন খলিল আল হায়া।
খলিল আল হায়া এবং হামাসের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের হত্যা করতে গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় একটি ভবনে বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী হওয়া সেই হামলায় ৬ জন নিহত হন, কিন্তু সৌভাগ্যবশত বেঁচে যান খলিল আল হায়া ও হামাসের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা।
এ ঘটনায় বিশ্বের প্রায় সব দেশ ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ৯ সেপ্টেম্বর এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট দাবি করেছিলেন, কাতারকে সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।
ব্রিফিংয়ে লিভিট বলেছিলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ হামলার ব্যাপারে আগে জানিয়েছিলেন। নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তিনি শান্তি স্থাপন করতে চান এবং তা শিগগিরই চান। তাই আমাদের কাছে আগে থেকেই এ হামলার খবর ছিল। নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্টিফ উইটকফের মাধ্যমে দোহাকে আসন্ন হামলার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। পরে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকেও দোহাকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
তবে সোমবার ওভাল অফিসে এক্সিওসের এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, “না, তারা আমাকে আগে কিছু জানায়নি। আপনি হামলার তথ্য যেভাবে পেয়েছেন, আমিও ঠিক সেভাবেই পেয়েছি।”
সূত্র : রয়টার্স
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: